করোনার প্রথম ঢেউয়ে তাঁর ‘মসিহা’ রূপের অস্তিত্ব টের পেয়েছিল দেশবাসী। কিন্তু আজ করোনার প্রকোপ কমলেও অভিনেতার সাহায্যের হাত ছোট হয়ে যায়নি।
আরও পড়ুন: মশার কামড়, ভলান্টিয়ারদের দুর্ব্যবহার, অরিজিতের শো-তে বিশৃঙ্খলা! বিস্ফোরক গায়ক
আরও পড়ুন: শ্বশুর রজনীকান্তের বাড়ির পাশে কয়েক কোটির প্রাসাদ ধনুষের! টাকার অঙ্কে মাথা ঘুরবে
advertisement
যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের জন্য তিনি সর্বদা হাজির। কিন্তু মানুষের সেবায় তো টাকা লাগে। কিন্তু নিয়মিত অভিনয় করতে দেখা যায় না সোনুকে। তবে তাঁর রোজগার কী? সেই অর্থের জোগান হয় কোথা থেকে?
সদ্য একটি অনুষ্ঠানে নিজেই পর্দাফাঁস করলেন। জানা গেল, বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেই তিনি দরিদ্রদের সাহায্য করেন। এছাড়া অভিনয় তো আছেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তিনি৷ তাঁদের জন্য বিজ্ঞাপন করেছেন। কিন্তু তাঁর বিনিময়ে কোনও অর্থ নেননি৷ তাঁর সেই পারিশ্রমিক যাতে আরও কয়েকজন মানুষের পেটের ভাত জোগান দেয়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, "যখন আমি এই কাজ করতে শুরু করি, জানতাম যে বেশিদিন টানতে পারব না। কারণ দেশে অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন। তাই একাধিক ব্র্যান্ডকে একজোট করলাম। কলেজ, ডাক্তার, হাসপাতাল, শিক্ষক এবং ওষুধের সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। জানালাম যে আমি কাজ করব। কিন্তু কোনও পারিশ্রমিক নেব না। আপনাআপনি আমার উদ্দেশ্য পূরণ হতে থাকল। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আমাকে ফোন করে বলত, এ দেশে ১৩০ কোটি মানুষ আছে, যাঁদের সাহায্যের দরকার। আপনি পারবেন না। আমি বললাম, আমার বাড়ির দরজায় এসে যাঁরা সাহায্য চাইছেন, তাঁদের আমি ফেরাতে পারব না। আর আজ আমি জম্মু থেকে কন্যাকুমারীর ছোট ছোট জেলার মানুষকে আমি পড়াতে পারছি, চিকিৎসা করাতে পারছি, কারও জন্য চাকরি খুঁজে দিয়ে পারছি।"