গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৭-এর কোঠি নম্বর ৫৯-এ থাকতেন সিমরন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানেই আত্মহত্যা করেন তিনি। আদতে জম্মুর নানক নগরের বাসিন্দা সিমরন। জম্মুর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্যাম্পাস প্লেসমেন্ট পেয়েছেন এবং রেডিও মির্চিকে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন। সবথেকে বড় কথা হল, গোটা জম্মুই সিমরনের কণ্ঠের ভক্ত ছিল। তিনি বেশ খ্যাতি লাভ করে নিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! প্রথমবার এই চুক্তি করে ফেলল ভারতীয় রেল! উপকার পাবেন লাখ-লাখ মানুষ
সিমরন সিংকে ‘জম্মু কি ধড়কন’ নামেও ডাকা হত। রেডিও-য় কাজ করার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় সিমরন প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। এরপর ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। জম্মু রেডিও মির্চির চাকরি ছেড়ে ২০২১ সালে হরিয়ানার গুরুগ্রামে চলে এসেছিলেন এই তরুণী। সেখানে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মিলে ভাড়ায় একটি বাংলোয় থাকতেন তিনি।
একাধিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে কোল্যাবোরেট করে কাজ করেছিলেন সিমরন সিং। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়ে রিল বানাতেন তিনি। কখনও কখনও আবার মজাদার কন্টেন্টও বানাতেন সিমরন। যা প্রচুর মানুষ দেখতেন। ফলে ভিউও আসত প্রচুর। আসলে লক্ষ লক্ষ ভিউ হত সিমরনের কন্টেন্টে। সেই সঙ্গে প্রচুর মানুষ পছন্দও করতেন। হাজার হাজার লাইকেও দেখা যেত মানুষের ভাল লাগার প্রতিফলন। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন সিমরন। যা জানার পরে শোকস্তব্ধ হয়ে যান তাঁর ভক্তরা। শুধু তা-ই নয়, সিমরনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ এবং ওমর আবদুল্লাহও।