তাঁর লেখায়, ‘নজরুল মঞ্চ ওভারক্রাউডেড হয়ে গেলে কী হয়, সে অভিজ্ঞতা আছে। এসি বন্ধ হয়ে যায়। মঞ্চেও সার বেঁধে দর্শক দাঁড়িয়ে থাকলে দম নেওয়ার ফাঁকটুকুও থাকে না। কয়েকদিন আগে এরকমই এক অনুষ্ঠানে রকসংগীত পরিবেশন করেছিলাম। অভ্যেস না থাকলে পারা মুশকিল— এ নিয়ে কয়েকটি মন্তব্য করেছিলাম। এখন হয়তো কেউ কেউ বুঝবেন— কতটা শারীরিক কষ্ট সহ্য করে আমাদের পারফর্ম করতে হয়। ঠান্ডার দেশ তো আর নয়!’
advertisement
নজরুল মঞ্চের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, অব্যবস্থা নিয়েই ইতিমধ্যেই অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে। উপস্থিত অনেকেই বলছেন, মঙ্গলবার এই ভিড়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ এসেছিল। কিন্তু উদ্যোক্তারা পুলিশের বারণ শোনেনি বলেই অভিযোগ। যা সিট ক্যাপাসিটি, তার থেকে দ্বিগুণের বেশি দর্শক ঢোকা নিয়ে পুলিশ আপত্তি করেছিল।
আরও পড়ুন: 'বুকে ব্যথা সহ্য করেই গান করছিলেন!' জানালেন ফিরহাদ হাকিম! শেষ ভিডিওতে কেকে-র মুখে যন্ত্রণা স্পষ্ট!
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এক জন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পরিশ্রমের কথা বললেন রূপম। মঞ্চের ও পারের গল্পটি তুলে ধরলেন পোস্টে।
অনেক ছোট থেকেই কেকে-র ভক্ত রূপম। সে কথাও বিস্তারিত লিখতে ভুললেন না তিনি। ‘জন্নত’ ছবির গানে একসঙ্গে গান গেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু আলাপ হয়নি দু’জনের। তা বলে কেকে-র গান নিয়ে মাতামাতি কম ছিল না তাঁর। তাই লিখেছেন, ‘খুব কম শিল্পীর গান চার ফর্ম্যাটে সংগ্রহ করে শুনেছি। প্রথমে ক্যাসেট। তারপর সিডি। তারপর ডিজিট্যাল। সব শেষে এল পি রেকর্ড। ‘পল’ অ্যালবামটি এমনই মারাত্মক এফেক্ট ফেলেছিল জীবনে যে ওই অ্যালবামের সব কিছুই সংগ্রহে আছে।’
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠান শুরুর আগেই এসেছিল পুলিশ, ভাঙে ছাত্রের হাতও! নজরুল মঞ্চে ঠিক কী ঘটেছিল?
উপরন্তু এই অ্যালবামের ‘আপ কি দুয়া’ গানটি রক অ্যান্ড রোল-এর ধাঁচে ফেলে গেয়েছিলেন রূপম। সেই সময়ে যদিও ‘ফসিলস’ ততটা জনপ্রিয় হয়নি বলে মানুষের মনে নেই বলেই ধারণা রূপমের।