লগ্নজিতা জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবান পুর এলাকার সাউথ পয়েন্ট পাবলিক স্কুলে অনুষ্ঠান সন্ধ্যে ৭ টা থেকে তাঁর অনুষ্ঠান ছিল৷ প্রথম তিনটে গান গাওয়ার পরই শুরু হয় সমস্যা৷ তিনি বলেন, ‘‘৭ টা থেকে ৭:৪৫ নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান চলে, প্রথম তিনটে গানের পর সুষ্ঠ ভাবে আমার সম্বর্ধনাও সম্পন্ন হয়৷ ৭:৪৫ নাগাদ আমার গানের লিস্টের ৭ তম গান গাওয়া শেষ হয়, এবং অষ্টম তম গানে যাওয়ার আগে যেরকম পরবর্তী গানে যাওয়ার আগে যে কোনও শিল্পী কথা বলেন সেরকম আমি কথা বলছিলাম৷’’
advertisement
লগ্নজিতা জানান, ‘‘যে সপ্তম গানটি আমি গাওয়া শেষ করেছিলাম সেটি ছিল বিগত দুর্গা পুজোয় মুক্তি পাওয়া দেবী চৌধুরাণী ছবির গান “জাগো মা”৷ এই গান শেষ করে যখন অষ্টম গানে যাওয়ার আগে অডিয়েন্সের সঙ্গে কথা বলছিলাম, উনি হঠাৎ দৌড়ে মঞ্চে আসেন, এবং প্রায় আমার ঠোঁটের কাছ অব্দি যখন চলে আসেন, তখন ২-৩ জন এসে ওনাকে থামায়, আমি জানিনা কে তারা। যদিও উনি আমায় মারতে উঠেছিলেন, বাধা দেওয়ার কারণে উনি সেটা পারেন না৷’’
তিনি বলেন, ‘‘আমার হাতে মাইক্রোফোন ছিল, আমি দর্শকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, উনি যখন মারতে পারেন নি, এবং ওনাকে যখন সবাই ধরে মঞ্চ থেকে নামাচ্ছে, তখন উনি চিৎকার করে বলেন যে “অনেক জাগো মা হয়েছে, এবার একটু সেকুলার গা! ওনার এই কথা মাইক্রোফোনের বাইরেও শোনা গিয়েছে। সকলেই চিৎকার শুনতে পেয়েছেন। ”
এরপরই মঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গায়িকা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এরপর মাইক্রোফোনে খুব শান্ত ভাবে জানাই, আপনারা সবাই দেখলেন কি হল, এরপর তো আমার পক্ষে আর অনুষ্ঠান করা সম্ভব না, তাই আমি নেমে যাচ্ছি, থ্যাঙ্ক ইউ ফর দ্য ওয়ান্ডারফুল এক্সপিরিয়েন্স। এরপর আমি নেমে যাই এবং ভগবানপুর থানায় যাই, সবটা জানাই। ওনারা আমায় একটা জেনারেল ডায়েরি করতে বলেন। আমি সেটা করি। ভদ্রলোকের নাম মেহেবুব মল্লিক, উনি এই স্কুলের মালিকদের মধ্যে একজন৷’’
