জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুরে জুবিনের সঙ্গে ইয়ট ভ্রমণে যে দলটি গিয়েছিল, সেই দলেরই সদস্য ছিলেন গোস্বামী, যে সময় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখানে তিনিও ছিলেন। পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে বৃহস্পতিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোস্বামীকে হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সঠিক বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হবে কি না বা গর্গের সঙ্গে গোস্বামীর সম্পর্কের ধরন কী ছিল তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে গোস্বামীকে গায়কের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, কিছু কিছু প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে তিনি তাঁর ব্যান্ডের ড্রামার ছিলেন।
advertisement
এই সর্বশেষ ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সিঙ্গাপুরে জুবিন নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর সঙ্গীত পরিবেশন করার কথা ছিল। সিঙ্গাপুরে গায়কের অকাল মৃত্যুর তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার সময় এসআইটি এবার সঙ্গীতশিল্পী শেখর জ্যোতি গোস্বামীকে গ্রেফতার করল। সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন ডুবে যান এবং চিকিৎসার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাঁর জীবন পুনরুদ্ধার করা যায়নি।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সকালেই এসআইটি দলগুলি এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাসভবনেও পৃথক ভাবে তল্লাশি চালিয়েছে, এঁরা হলেন উৎসবের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত এবং জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা। একটি দল গীতানগরে মহন্তের বাড়িতে গিয়েছিল, সেখানে বাড়িতে মাত্র দুজন গৃহকর্মীকে পাওয়া গিয়েছিল। অন্য দিকে, আরেকটি দল ধীরেনপাড়ায় শর্মার অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছায়, যা তালাবন্ধ ছিল।
একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তালা ভাঙা হয় এবং পুরো বাড়ি তল্লাশি করা হয়। বাসিন্দারা দাবি করেন যে জুবিনের মৃত্যুর পর থেকে শর্মার পরিবারের সদস্যদের, তাঁর মা, ভাই এবং বোনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অসম সরকার জুবিন গর্গের মৃত্যুর তদন্তের জন্য বিশেষ ডিজিপি এমপি গুপ্তার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি এসআইটি গঠন করেছে। এই মামলাটি রাজ্যের ভেতরে এবং বাইরেও ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, ভক্তরা ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।