কিন্তু এই বিয়ের আসরে যেই মানুষটি সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন, তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মোহরের সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্ক নেই বটে, কিন্তু বিয়ের সমস্ত আয়োজনে মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির বুম্বাদা। নায়কের জনসংযোগ আধিকারিক (পার্সোনাল অ্যাসিসট্যান্ট পিএ) হিসেবে কাজ করেন মোহর। সেই সূত্রেই আলাপ বুম্বাদার সঙ্গে। কিন্তু এখন তাঁদের সম্পর্ক যেন বাবা-মেয়ের। প্রসেনজিতের নয়া অবতার দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।
advertisement
এমনই সময়ে হঠাৎ কটাক্ষ এল দুর্নিবারের দিকে। যদিও সেই বিষয়ে কোনও রকম নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু যখন দুর্নিবারের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে চারদিকে এত জলঘোলা, তখনই ২০১৫ সালের সারেগামাপা জয়ী সৌম্য চক্রবর্তী এমন একটি পোস্ট করলেন কেন? প্রশ্ন উঠছে চারদিকে। তাঁর পোস্টে লেখা, ‘পরিণত প্রেমের ‘বিয়ে’ আর ‘সওদা’ দু’টো আলাদা জিনিস! মানুষ পরিণত প্রেমের নয়, ‘সওদা’র সমালোচনা করে….বেশ করে! উচিত করে!’ তাঁর বক্তব্য এখানেই শেষ নয়, পোস্টের মন্তব্য বাক্সে এক নেটিজন জানতে চান, এই লেখার নিশানা কে? দুর্নিবার কি?
আরও পড়ুন: মাটন-পনির-কচুড়ি-স্যালাড, এলাহি আয়োজন দুর্নিবার-মোহরের বিয়েতে, রইল খাবারের ছবি!
আরও পড়ুন: এদিকে নবদম্পতি, ওদিকে সুপারহিট জুটি! দুর্নিবার-মোহরের সঙ্গে ছবি ঋতু-বুম্বাদার
তখন যেন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সৌম্য। ওই মন্তব্যের তলায় সৌম্য নিজের বিয়ে ভাঙা, পরবর্তী প্রেমিকার সঙ্গে বাগদান নিয়ে খুল্লমখুল্লা কথা বলেন। তাঁর লেখায়, ‘আমার সঙ্গে উক্ত আর্টিস্টের দয়া করো যোগসূত্র স্থাপন কোরো না। আমার প্রেম ছিল আড়াই তিন মাসের। যাচাই না করে তাড়াহুড়োয় বিয়ে করেছিলাম। সম্পর্ক ভেঙেছিল দেড় বছরের মাথায়। তার পর ২০১৯ থেকে সিঙ্গেল ছিলাম... এতদিনে এনগেইজড। আমি চার বছর লিভ ইন করে মিডিয়া ডেকে তারপর বিয়ে করে, তারপর ছ’মাসের মাথায় ডিভোর্স করে আবার বিয়র পিঁড়িতে বসিনি। গায়কটির প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা আছি। ব্যক্তিটিকে আমি চিনি না। চিনতে চাইও না। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমার কিচ্ছু এসে যায় না। আমি সাধারণ মানুষদের পক্ষে কথাগুলো লিখলাম। আমার প্রেম নিয়ে কেউ ট্রোল করে না। কারণ লোকজন জানে কীভাবে ভেঙে আমি পাঁচ বছর নিজেকে জুড়েছি। এবং কারও পিএ ডিএ-কে সিঁড়ি বানাইনি। দীর্ঘ আট বছরের সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী আজ আমার জীবন গতিময় করেছে। আমার সিঁড়ি নয, ঋত্বিকা চক্রবর্তী (সৌম্যর বাগদত্তা) আমার একবুক মুক্ত প্রশ্বাস।’
২০১৫ সালে সারেগামাপা-এ অংশ নিয়েছিলেন দুই গায়কই। জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন দুর্নিবার-সৌম্য। কিন্তু চূড়ান্ত পর্বে ট্রফি হাতে তুলে নেন সৌম্য। বাঁকুড়ার এই গায়কের সঙ্গে বারবার তুলনা চলত দুর্নিবারের। এবারে সেই দুর্নিবারকে কটাক্ষ করে আবারও বিবাদে সৌম্য? যদিও তিনি নিজে একবারও সরাসরি দুর্নিবারের নাম করেননি কোথাও।