‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবিতে এক কমবয়সী মহিলার চরিত্রে দেখা গিয়েছে সারাকে। তাঁর চরিত্রটি কনফিউজড। দু’জন পুরুষের মধ্যে যেন ফেঁসে রয়েছে সারা অভিনীত চরিত্রটি। শুধু তা-ই নয়, প্রেম আসলে কী, তা রীতিমতো হাতড়ে বেড়াচ্ছে কমবয়সী মহিলার এই চরিত্রটি। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির রিভিউ এসে গিয়েছে। আর নিজের অভিনয় দক্ষতা এবং পর্দায় আদিত্য রয় কাপুুরের সঙ্গে রসায়নের জোরে ভাল রিভিউ পাচ্ছেন সারা। এরই মাঝে News18 Showsha-র সঙ্গে বিশেষ আলাপচারিতা সেরেছেন সইফ-অমৃতার কন্যা। সেখানে আধুনিক সময়ের সম্পর্কের একাধিক চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
advertisement
সারার কথায়, “আমি যখন প্রেম-ভালবাসা আর সম্পর্কের কথা চিন্তা করি, তখন প্রেমের ভাষা আমার মাথায় আসে। যখন আপনি প্রেমে পড়বেন, তখন আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে, প্রত্যেকটা মানুষই আলাদা এবং তাঁদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করার নিজস্ব কায়দা রয়েছে। আপনার সঙ্গীর প্রেমের ভাষার সঙ্গে আপনার প্রেমের ভাষা মিলবে না। কিন্তু আপনাকে এটা বুঝতেই হবে যে, তাঁরা নিজেদের মতো করে সেরাটা করে চলেছেন।”
আরও পড়ুন– আগামী ৭ জুলাই, সোমবার কি দেশ জুড়ে সরকারি ছুটি ? জেনে নিন বিশদে
যদিও এর সঙ্গে চট করে সারা এটাও জানিয়ে দেন যে, আগের মতো কাউকেই এখন খুঁজছেন না তিনি। তাঁর বক্তব্য, “আপনি টাইম-ওরিয়েন্টেড অথবা ফিজিক্যাল টাচ-ওরিয়েন্টেড মানুষ হতে পারেন। কিন্তু আপনার সঙ্গী সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড ব্যক্তিত্বের মতো আচরণ করতে পারে। তাঁরা যেটা করছেন, সেটা বুঝতে পারলে আমার মনে হয়, সেটাই দারুণ। আপনি যেভাবে চাইছেন, সেভাবে আপনাকে প্রত্যেকে ভালবাসবে, এমনটা হয়। কিন্তু তাঁরা নিজেদের সেরাটাই দিচ্ছেন। আমি মানুষকে আরও ভাল ভাবে বুঝতে শিখেছি। আমি আমার মনকে পরিষ্কার করেছি। আমি এখন অন্যরকম মানুষের সন্ধানে রয়েছি। আমি তো অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছি।”
আধুনিক প্রেমে ডেটিং অ্যাপের ভূমিকা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আবার বলেন, “আমি কখনওই ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করিনি। কিছু মানুষ সেটা করেন। আর সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আমার মনে হয়, সামনাসামনি দেখা হলেই মানুষকে জানা যায়। এমন একটা যুগ, যেখানে সব কিছুই ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে, সেখানে যদি নিজের সঙ্গীর সঙ্গে সাক্ষাৎও ডিজিটাল হয়ে যায়, তাহলে আমি অন্তত মজা পাব না।”
Gen-Z প্রজন্মের ছেলেমেয়ারা সাধারণত সম্ভাব্য সঙ্গীদের মধ্যে রেড ফ্ল্যাগ এবং গ্রিন ফ্ল্যাগ নিয়ে বিস্তর চর্চা করে থাকেন। এই প্রসঙ্গে সারা বলেন, “যদি আমার সঙ্গী আমাদের সম্পর্কটাকে স্বীকার করতে না চান, আমি তাঁকে ১০৮টি গ্রিন ফ্ল্যাগ দেব। এটা আমার শুনে দারুণ লাগবে, কারণ এটি আমার কাছে বিরল পরিস্থিতি (হাসি)। ছেলেরা সব সময় বিল মেটাবে, এতেও আমি বিশ্বাস করি না। বরং বিল ভাগাভাগি করে মেটানোতেই আমি বিশ্বাসী। কখনও কখনও আমি কোথায় যাচ্ছি, সেটা জিজ্ঞাসা করেন। আমার তাতে সেভাবে কোনও সমস্যা নেই, যতক্ষণ না তাঁরা আমায় জিপিএস-এর মাধ্যমে ট্র্যাক করছেন।”