সংযুক্তা লিখেছেন অতিরিক্ত কাজের চাপের কথা৷ কেকে-এর অকালমৃত্যু ছিন্নভিন্ন করে দিল আরও একটি শোকস্তব্ধ পরিবারকে-ে কথা ভাবলেই মন ভারী হয়ে যাচ্ছে সংযুক্তার৷ তাঁর প্রার্থনা, এই দুঃসময়ে মুহ্যমান ওই পরিবার যেন যথেষ্ট শক্তির অবলম্বন পায়, যাতে এই অপূরণীয় ক্ষতি তাঁরা সামলে উঠতে পারেন৷ সংযুক্তার স্মৃতি এখনও আচ্ছন্ন হয়ে আছে অভিষেককে ঘিরে৷ তিনি ফিরে গিয়েছেন অভিষেকের সঙ্গে কাটানো শেষ রাতে৷
advertisement
সংযুক্তা লিখেছেন, ‘‘আপনারা জানেন, অভির একটা পুরনো অভ্যাস ছিল৷ রাতে শোওয়ার আগে ও ঠোঁটে বোরোলিন লাগাত৷ এমনকি, সে রাতেও পুরনো অভ্যাসমতো ঠোঁটে বোরোলিন মেখেছিল৷ তার পর আঙুলে লেগে থাকা বাকি ক্রিমটুকু অভ্যাসমতোই ঘষে দিয়েছিল আমার হাতে৷ তখন আর কে জানত সেগুলো আসলে ওর সঙ্গে কাটানো আমার শেষ কিছু মুহূর্ত৷’’
আরও পড়ুন : কেকে-এর সঙ্গে প্রথম বার গভীর রাতে পরোটা খাওয়ার দিনে ফিরলেন শান্তনু মৈত্র
আরও পড়ুন : ‘এ তুমি কেমন তুমি KK-এর গানকে হিংসে কর’, তাঁর গানের প্যারোডিতেই বিঁধলেন ভাস্বর
জীবন কত অননুমেয়, সে কথা কেকে-এর আকস্মিক প্রয়াণে আরও এক বার অনুভব করলেন সংযুক্তা৷ তবে জীবনের এই চরম দুর্বিষহ মুহূর্তও তাঁকে কিছু শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে৷ কী কী শিখলেন তিনি এই কঠিন মুহূর্ত থেকে? সেগুলিও একে একে লিখেছেন তিনি৷ লিখেছেন তিনি শিখেছেন কাজের চাপ যাতে নিজেকে গ্রাস করে নিতে পারে, সেদিকে দেখতে হবে৷ পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে৷ সবার শেষে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা সংযুক্তার৷ লিখেছেন ‘‘যদি আপনি ভাল না থাকেন, তার মানে আপনি ভাল নেই৷ আপনি কাজে যাবেন না৷ ব্যস!’’