সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সানা। ইসলাম নির্দেশিত ধর্মীয় জীবনের পথ বেছে নিয়েছেন ১৫ বছরের অভিনয় জীবন ছেড়ে। ২০২০ সালে বিয়ে করেছেন মুফতি আনাস সইদকে। তার জন্য তাঁকে একাধিক বার কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে বটে। এই ভিডিওতে তিনি তাঁর পরিবর্তনের যাত্রা সম্পর্কে জানালেন।
আরও পড়ুন: 'আমি বোরখা পরতেও বলিনি, কাজ ছাড়তেও বলিনি,' জানালেন সানা খানের স্বামী!
advertisement
এক সময়ে তিনি নিজের পছন্দ মতো জীবন যাপন করতেন, এখন তিনি তাঁর ঈশ্বরের নির্দেশিত পথে চলেন। এক সময়ে তাঁকে দেখা যেত খোলামেলা পোশাকে, এখন তিনি সর্ব ক্ষণ হিজাব পরেন। তার কারণ জানালেন সানা।
দুঃস্বপ্ন দেখতে দেখতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আতঙ্কে, অবসাদে মুহ্যমান ছিলেন সানা। কোনও ধার্মিক অনুষ্ঠানে হিজাব পরলেও বাড়ি ফিরে তা খুলে ফেলতেন।
তাঁর কথায়, ''ফেলে আসা জীবনে আমার কাছে সব ছিল, নাম, যশ, খ্যাতি, অর্থ। কিন্তু কেন জানি না, সুখী ছিলাম না। কিছু একটা নেই মনে হত। তার পরেই ওই স্বপ্ন দেখা শুরু। তখন মনে হল, আল্লা আমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন, যাতে আমি বদলাই। এখনও যদি না বদলাই, আমি জীবনের শেষটা এমনই হয়ে যাবে। এক রাতে আমি আধ্যাত্মিক ভাষণ শুনছিলাম, সেখানে জানলাম, পুরুষের মৃতদেবকে তিনটি কাপড়ে মোড়া হয়, মহিলাদের পাঁচটি কাপড়ে। কারণ আল্লা চান না, মৃত্যুর পরেও কেউ মহিলার শরীরের আকার আকৃতি দেখতে পাক। মাথাতেও হিজাব পরানো হয়। সেটা শুনে আমার ভাল লাগে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নিই, আর কোনও দিন হিজাব খুলব না আমি। পরের দিন সকালে আমার জন্মদিন ছিল। হিজাব পরি। আর কোনও দিন খুলিনি।''
আরও পড়ুন: সোনায় মোড়া কাপে কফি! গগনচুম্বী 'বুর্জ খলিফা'য় বসে স্বামীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সানা খান
সব সময়ে হজে যেতে চাইতেন সানা। সেই ইচ্ছাও পূরণ করেছেন তিনি। চলতি বছরেই হজে গিয়েছিলেন তিনি।