মালাইকা অরোরার মা জয়েস অরোরার জন্মদিনের নিমন্ত্রণ রক্ষা করে মধ্যরাতে বাড়ি ফিরছিলেন সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খান। হঠাৎ হানা পাপারাৎজিদের। ২০ জন ক্যামেরা তাক করেন তারকা দম্পতির দিকে। বিরক্ত হয়ে ওঠেন সইফ। তাঁদের উদ্দেশে ক্ষুব্ধ সইফ বলে ওঠেন, ‘‘এবার আমাদের বেডরুমে চলুন!’’
আরও পড়ুন: '২০২০টা আমার জন্য ছিল সবথেকে খারাপ', কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে এবার মুখ খুললেন সারা
advertisement
আরও পড়ুন: শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেও ক্লান্তি! কঙ্গনার নয়া মন্তব্যে ঝড় নেটপাড়ায়
ঘটনার পর শোনা গেল, বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে বিচলিত সইফ নাকি এই কাণ্ডের পর তার দারোয়ানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, পাপারাৎজিদের গেটের ভিতরে প্রবেশ করা থেকে আটকাতে অক্ষম দারোয়ানকে চাকরিতে রাখা যাবে না। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় চারদিকে। একইসঙ্গে শোনা যায়, পাপারাৎজিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করতে চলেছেন সইফ।
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে এবার মাঠে নামলেন ছোট নবাব। বিবৃতি জারি করলেন, ‘কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে না। বিল্ডিং নিরাপত্তারক্ষীর দোষ ছিল না। আর কেউ পাপারাৎজিদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারণ এরকম কিছু করতে চাই না আমরা।’
তবে একইসঙ্গে তিনি তাঁর বিবৃতিতে এ কথা স্পষ্ট করেছেন যে পাপারৎজিদের কাণ্ডে তিনি অত্যন্ত বিরক্ত। তাঁর বিবৃতিতে লেখা, ‘তবে হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে ওঁরা এমন ভাবে আমাদের নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে বিল্ডিংয়ে ঢুকে ২০ জন মিলে আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরে এসে ক্যামেরা-লাইট তাক করেছেন, যেন এটা তাঁদের অধিকার। এটা অন্যায়। প্রত্যেকেরই নিজের সীমা বোঝা উচিত। আমরা সহযোগিতা করি তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু সেটা বাড়ির গেটের বাইরে। নাহলে কোনও সীমা থাকবে না। আর তাই বেডরুমের কথাটি বলেছিলাম কারণ ততক্ষণে তাঁরা সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন। বাচ্চারা যখন স্কুলের বাইরে অন্যান্য ক্লাস করতে যায়, তখনও ওদের ছবি ভিডিও তোলা হয়। এত কিছুর প্রয়োজন নেই। এটাই বলার ছিল। এর বাইরে যে যা বলছে তারা কেউ সত্যিটা জানে না।’