সে কথাই বৃহস্পতিবার লিখেছেন সব্যসাচীপুত্র গৌরব ৷ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাবা-ছেলের পাঞ্জা লড়ার ছবি ৷ ঘরোয়া পরিসরে সেই ‘লড়াই’-এ দু’জনের মুখেই হাসি ৷ জয়ের হাসি এবং পরাজয়েও বিজিতের হাসি ৷ কারণ গৌরব জানেন, তিনি ৫ বছরের শিশু হোন বা ৩৫ বছর বয়সি যুবক, তাঁর বাবা সব সময় তাঁকেই জিততে দেবেন ৷ আত্মজের জয়েই মিশে থাকে বাবার আনন্দ ৷ বাবা তাঁর নায়ক ৷ তাঁর আদর্শ ৷ তাঁর গুরু ৷ এই বার্তার সঙ্গেই সব্যসাচীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর উত্তরসূরি ৷
advertisement
দাদার প্রোফাইলে যদি বাবার সঙ্গে পাঞ্জার লড়ার ছবি, ছোট ভাই অর্জুনের প্রোফাইলে জ্বলজ্বল করছে সব্যসাচীর অভিযাত্রী রূপ ৷ এখানে গাড়িতে আসীন অভিনেতাকে দেখে মনে আসতেই পারে ফেলু-অনুষঙ্গ ৷ ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে অর্জুন কুর্নিশ জানিয়েছেন বাবা হিসেবে সব্যসাচীর ভূমিকাকে ৷ গৌরব এবং অর্জুনের দু’জনের পোস্টেই এসেছে অগণিত শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনবার্তা ৷ টলিউডের অন্যান্য তারকা তো বটেই ৷ অভিনেতাকে ‘শুভ জন্মদিন’ জানিয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ ৷
প্রসঙ্গত বাবার মতো সব্যসাচী চক্রবর্তীর দুই ছেলের অভিনয়-অভিযানও বড় পর্দার আগে শুরু হয়েছে ছোট পর্দাতেই ৷ গৌরব ও অর্জুন একসঙ্গে আত্মপ্রকাশ করেন স্টার জলসায় ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিকে ৷ ধারাবাহিকে দু’জনের অভিনয়ই সমাদৃত হয়েছিল দর্শকমহলে ৷ সময়ের সঙ্গে দু’জনেই এগিয়ে গিয়েছেন নিজস্ব ধারায়, স্বকীয় গতিতে ৷ আজ বাংলা ছবির তরুণ তুর্কীদের মধ্যে অন্যতম গৌরব এবং অর্জুন ৷ তাঁদের অভিনয় মনে করিয়ে দেয় কয়েক দশক আগের ‘তেরো পার্বণ’-এর ‘গোরা’-কে ৷ কলকাতা দূরদর্শনের জনপ্রিয়তার স্বর্ণযুগে দর্শকদের মণিকোঠায় স্থান পেয়েছিল ‘তেরো পার্বণ’ ধারাবাহিক এবং ‘গোরা’ চরিত্রে সব্যসাচীর অভিনয় ৷ দর্শকদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছিলেন শুধুই ‘গোরা’ ৷
আরও পড়ুন : ২০২৩-এর পুজোয় আসছে 'অরণ্যের দিনরাত্রি'! মুখ্য চরিত্রে জিতু কমল!
বড়পর্দায় অভিনেতার প্রথম আত্মপ্রকাশ ১৯৯২ সালে, তপন সিনহার ছবি ‘অন্তর্ধান’-এ ৷ তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য হল ‘দামু’, ‘লাঠি’, ‘ফেরারি ফৌজ’, ‘দেশ’, ‘নিশিযাপন’, ‘মহুলবনীর সেরেঞ’, ‘হারবার্ট’, ‘বো ব্যারাকস ফর এভার’, ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘মেঘনাদ বধ রহস্য’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’, ‘ভবিষ্যতের ভূত’ এবং ‘অভিযাত্রিক’ ৷ বাংলার বাইরে রয়েছে ‘দিল সে’, ‘পরিণীতা’, ‘দ্য নেমসেক’-এর মতো ছবিও ৷
আরও পড়ুন : সকলের সাহায্যে শোধ গৃহঋণ, বিপদমুক্তির পর সকলকে কৃতজ্ঞতা প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রীর
সব ছবির সব রকম ভূমিকা ছাপিয়ে তিনি ধরা দিয়েছেন ফেলুদা এবং কাকাবাবু হয়ে ৷ ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটে’, ‘টিনটোরেটোর যীশু’, ‘গোরস্থানে সাবধান’, ‘রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য’, ‘বাক্স রহস্য’, ‘গোঁসাইপুর সরগরম’, ‘কৈলাসে কেলেঙ্কারি’-র পাশাপাশি দর্শকদের খুব কাছের ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’ এবং ‘এক টুকরো চাঁদ’ ৷ এই অভিযান তথা ছবিগুলোর মতো অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীও চিরসবুজ ৷