গানের ভিডিও শেয়ার করে তার ক্যাপশনে শিল্পী লিখেছেন ‘নির্জন যাত্রাপথ’৷ গানটির বিষয়বস্তু দেখে বোঝা যাচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমবাসী বৃদ্ধা ও বৃদ্ধাদের নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্বকে তুলে ধরা হয়েছে গানের সঙ্গে ৷ রূপঙ্কর নাকি ইচ্ছে করেই এই বিষয় বেছেছেন, মনে করেন এক নেটিজেন ৷ ওই নেটিজেনের মতে, বৃদ্ধ বৃদ্ধারা হয়তো কেকে-বিতর্ক নিয়ে ওয়াকিবহাল নন৷ তাই তাঁদের কাছে রূপঙ্কর গিয়েছেন ৷ কিন্তু সমাজের তরুণ অংশের কাছে রূপঙ্কর কি এখনও এতটাই অগ্রহণযোগ্য? সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্যবাক্সের সাম্প্রতিক ট্রেন্ড কিন্তু সে কথা বলছে না৷ বরং বলছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পীর প্রতি অধিকাংশ শ্রোতাদের বিরূপ মনোভাব এ বার ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে৷
advertisement
আবার রূপঙ্করের পোস্টে ফিরে এসেছে ‘লাইক’ ও ‘লভ’ ইমোজি৷ এই ক’দিন শুধু রাগ এবং হাসির ইমোজি-ই থাকত তাঁর পেজে ৷ এক নেটিজেন তথা শ্রোতা লিখেছেন, ‘‘বিষাদ-মাখা এই গান অন্তরের গভীর থেকে গাইলেন । আপনার বিষণ্ণতা আমাকে ছুঁয়ে গেলো । অসম্ভব ভালো-লাগায় মন ভরে গেলো। আশা করি আপনার খারাপ সময় কেটে গিয়ে আলোর ঠিকানা খুঁজে পাবেন। পাশে আছি, থাকবো । ভালো থাকবেন।’’ আর একজনের মন্তব্য, ‘‘দেরি করে হলেও আপনি যে আপনার ভুল স্বীকার করেছেন এটাই অনেক। ভাল থাকবেন৷’’নেটিজেনদের একাংশের ধারণা, এই গানের মাধ্যমেই রূপঙ্কর ভুল স্বীকার করলেন ৷
আরও পড়ুন : ‘হিন্দি গানের সঙ্গে নাচ করছেন? বর বকবে যে...’,আগের রিল ভিডিও ভাইরাল হয়ে তীব্র কটূক্তির শিকার রূপঙ্করের স্ত্রী চৈতালি
আরও পড়ুন : ভালবাসা আজ তীব্র ক্ষোভ, রূপঙ্কর-চৈতালি থাকলে তাঁরা দেখবেন না রিয়্যালিটি শো, জানালেন দর্শকরা
রয়েছে উল্টোসুরও ৷ শ্রোতাদের দরবারে ফিরে আসার জন্যই তিনি সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগাচ্ছেন, ধারণা অনেকেরেই৷ কটূক্তি এসেছে ক্যাপশন নিয়েও ৷ বলা হয়েছে, চার দিক থেকে ধাক্কা খেয়ে শিল্পীর যাত্রাপথ এ বার নির্জন ৷ সেই যাত্রাপথে তিনি যতই গান শুনিয়ে থাকুন না কেন, পুরনো জায়গা আর ফিরে পাবেন না-এ মত প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷ ‘হু ইজ কেকে, ম্যান’-এর পাল্টা তাঁদের কলমে এখনও ‘হু ইজ রূপঙ্কর’ মন্তব্যই জ্বলজ্বল করছে ৷ গানে মুগ্ধতা নয়, তাঁরা বরং মনে রেখেছেন কেকে-এর পারফরম্যান্স উল্লেখ করে বলা রূপঙ্করের কথাগুলোই ৷
আরও পড়ুন : ‘পাশে থাকা মানে কী, চৈতালি দি’?’ স্বামীর সমর্থনে রূপঙ্করের স্ত্রীর ফেসবুকে লেখা কবিতায় প্রশ্ন নেটিজেনদের
কিন্তু ভুল তো মানুষমাত্রই করে ৷ সেই ভুলের কি ক্ষমা হবে না? এই প্রশ্নও কম শ্রোতার নয় ৷ কেউ কেউ তো লিখেইছেন রূপঙ্করের উপর সব রাগ পড়ে গিয়েছে তাঁর এই গান শুনে ৷ সঙ্গে শুভার্থীদের পরামর্শ, রূপঙ্কর যেন গান নিয়েই থাকেন ৷ এর বাইরে অন্য কিছু না করেন ৷ কারণ গানেই তাঁকে সবথেকে ভাল মানায় ৷
