কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার পরও কি ছবিটা কিছু বদলাল? সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন সঙ্গীতজীবনে এরকম বিভীষিকার মুখোমুখি হতে হবে, তিনি ভাবেননি৷ এই পরিস্থিতি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ঠেলে দিয়েছে আতঙ্ক, মানসিক নিপীড়ন ও দুর্ভাবনার দিকে৷ অভিযোগ রূপঙ্করের৷ কিন্তু তাঁর দুঃখপ্রকাশের পরও কি ছবিটা পাল্টাল? অন্তত সামাজিক মাধ্যম কিন্তু সে ইঙ্গিত দিচ্ছে না৷ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকের পরও জনতার কাঠগড়া থেকে রেহাই পেলেন না জাতীয় পুরস্কারজয়ী গায়ক৷
advertisement
শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রূপঙ্কর তাঁর বক্তব্য আগাগোড়া পাঠ করেন৷ তাঁর হাতে একটি কাগজে লেখা ছিল বক্তব্য৷ নীচে ছিল তাঁর স্বাক্ষর৷ এখানেই নেটিজেনদের আপত্তি৷ ক্ষমা প্রার্থনা কখনও স্ক্রিপ্ট দেখে হয় না৷ বক্তব্য তাঁদের৷ কেউ লিখেছেন ‘যাঁদের অনুশোচনাবোধ থাকে তাঁদের এভাবে পাঠ মুখস্থ করতে হয় না৷’ তিনি কাগজ পড়ে বলছেন মানে মন থেকে ক্ষমা চাইছেন না-এই মত অধিকাংশ নেটিজেনের৷ তির্যক ভঙ্গিতে কেউ লিখেছেন ‘আবৃত্তিটার জন্য পুরস্কৃত করা উচিত৷’
আরও পড়ুন : লাজুক ছিলেন প্রেমপর্বে, স্ত্রীর সঙ্গে কেকে-এর আশৈশব সম্পর্ক ভেঙে গেল খর জ্যৈষ্ঠে
অনেকে আবার গায়কের এই দুঃখপ্রকাশকে ‘নাটক’ হিসেবেই দেখতে চান৷ তাঁদের ধারণা, সমালোচনায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বলেই অতঃপর দুঃখপ্রকাশ করছেন রূপঙ্কর৷ তাঁর ক্ষমা চাওয়া বা দুঃখপ্রকাশে মন গলেনি নেটিজেনদের৷ কারণ তাঁদের মতে, ক্ষমা চাইতে হয় মন থেকে৷ স্ক্রিপ্ট দেখে নয়৷ কারওর প্রশ্ন, ‘পরীক্ষাতেও এ ভাবে দেখে লিখতেন?’ তাঁর করুণ চেহারাকে ব্যঙ্গ করে ‘কুমিরের কান্না’ বলে অনেকেই জানতে চেয়েছেন রূপঙ্করকে কে এই স্ক্রিপ্ট লিখে দিয়েছেন? কারওর মন্তব্য, আর যাতে ভুলভাল কথা বলে না ফেলেন তার জন্য এ বার লিখে এনেছেন৷ বিতর্কের তিন দিন পর লাইভ ডিলিট করা বা দুঃখপ্রকাশ করা নিয়েও এসেছে কটাক্ষ৷ কোনও নেটিজেন মনে করছেন গায়ক ইচ্ছে করেই ওই ভিডিও রেখে দিয়েছিলেন৷ যাতে তিনি ফেসবুক থেকে অর্থোপার্জন করতে পারেন৷
আরও পড়ুন : সুরলোকে কেকে, তাঁকে অলবিদা জানাতে হাজির বলিউডের তারকারা, তাঁর শেষযাত্রার ছবি
আরও পড়ুন : ‘ভাল না থাকলে কাজে যাবেন না’,KKএর মৃত্যুতে স্মৃতিবিহ্বল অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা
এদিন নিজের লিখিত বিবৃতি পড়া ছাড়া সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি রূপঙ্কর৷ তবে বলেছেন পরে তাঁদের মুখোমুখি হবেন৷ কিন্তু প্রথম বার প্রকাশ্যে এসে গায়কের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হল৷ জনতার কাঠগড়ায় থাকার মেয়াদ কার্যত দীর্ঘায়তই হল৷ বলছে সামাজিক মাধ্যমের তীব্র প্রতিক্রিয়া৷