ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন এবং রুদ্রনীল ঘোষের ওয়ার্কশপ প্রোডাকশনস প্রযোজিত ‘মাতঙ্গী’ ওয়েব সিরিজে ধুন্ধুমার লড়াই। সিরিজে সোহিনী এবং তৃণা ছাড়া অভিনয় করছেন দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং রণিতা দাস। আপাতত দুই নায়িকার বিরোধের কারণে শ্যুট বন্ধ। ঘনিষ্ঠ সূত্রের বক্তব্য, ‘ইগোর লড়াই’।
আরও পড়ুন: মেকআপ আর্টিস্ট-ভ্যান নিয়ে দুই নায়িকার জোর লড়াই! সোহিনীর উপর রেগে সেট ছাড়লেন তৃণা
advertisement
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘হাওয়া বদল ২’-এর শুভ মহরৎ-এ রুদ্রনীলকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, অভিনেতা নিউজ18 বাংলাকে বলেন, ‘‘আমার দুই অভিনেত্রী বন্ধুর মধ্যে বিরোধ, আমার সত্যিই কোনও মন্তব্য নেই, এই ঝামেলায় আমার ভূমিকাও নেই। মহিলাদের বেশ কিছু বিষয় আছে, যেখানে পুরুষদের নাক গলাতে নেই। প্রযোজক হিসেবে কেবল এটাই দেখার যেন এমন কোনও সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছনো যায়, যেখানে কলাকুশলীরা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচে। শ্যুট বন্ধ হওয়ার জন্য বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে সবাইকে। এখানে কিন্তু এই দু’জন ছাড়াও আরও দু’জন অভিনেত্রী কাজ করছেন। দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং রণিতা দাস। তাঁরা খুবই শক্তিশালী অভিনেত্রী। সিংহভাগ কলাকুশলী যেটা চাইবেন, তা-ই হবে। আমার মনে হয়, কোনও অভিনেত্রীর তরফে যদি কোনও ভুল হয়, তবে নিশ্চয়ই তিনি সেই ভুল মেনে নেবেন। শুধু যে আমাদের ফ্লোরেই অশান্তি হয়েছে তা নয়। রোজই ছোট বড় সমস্যা সব জায়গাতেই হয়। যেখানে অভিনেত্রীরা চর্চার মধ্যে থাকে, সেখানেই মানুষ চোখ রাখে বেশি। এর মানে এই নয় যে বিরাট কোনও ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তবে সিংহভাগ টেকনিশিয়ান এবং আর্টিস্ট যেটা চাইবেন, সেটাই হবে। কে কোনটা কম পেয়েছে, বেশি পেয়েছে তাতে আমি নাক গলাব না।’’
তবে রুদ্রনীলের বক্তব্য, ‘‘শ্যুটিং করতে আসার আগেই কার কী চাই, সেটা প্রোডাকশনকে বলে দিই। মাঝপথে যদি কারও কিছু মনে পড়ে, তাহলে তো সেটা তাঁর ইচ্ছা যদি কেউ মনে করে, ও পাচ্ছে, আমি পাচ্ছি না কেন, সেটা তাঁর বিষয়। কারও তো কিছু করার নেই। প্রচুর অভিনেতা আছেন, যাঁরা হাই হিল জুতো পান, আমি পাই না। আমি তো সেসব নিয়ে কিছু বলি না।’’
তৃণার নাম না নিয়েই মন্তব্য করলেন রুদ্রনীল। তবে এখন দেখার, সিংহভাগ কলাকুশলী কী চাইছেন, তার উপর নির্ভর করছে ‘মাতঙ্গী’ ওয়েবসিরিজের ভবিষ্যৎ।
কী ঘটেছিল শ্যুটিং ফ্লোরে?
শোনা গিয়েছে, সোহিনীর ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট ও হেয়ার স্টাইলিস্টের দল রয়েছে। হঠাৎ তৃণা নাকি দাবি করেন, তাঁরও সোহিনীর মতো ব্যবস্থা চাই। সেখানেই বিরোধ শুরু হয়। চিৎকার করা হয় বলেও দাবি। তৃণার আচরণ নিয়ে কানাঘুষো কথা ছড়ায়। তবে এখানেই শেষ নয়। বিরোধের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয় যখন সোহিনী নাকি একটি মেসেজ করেন আর্টিস্টদের গ্রুপে। সূত্রের খবর, সোহিনী নাকি সেখানে দাবি করেন, তিনি ২০১৮ সাল থেকে ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট, হেয়ার স্টাইলিস্ট ও ভ্যান পেয়ে আসছেন। অপেক্ষা করলে সকলেই বিশেষ বন্দোবস্ত পেয়ে যাবেন। তবে তিনি কারও নাম নেননি সেখানে।
সূত্রের দাবি, তৃণার সেই মেসেজ পড়ে খারাপ লাগে। তিনি অপমানিত বোধ করেন। তার পরই তিনি শ্যুট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকে সব থমকে।
নিউজ18 বাংলার পক্ষ থেকে তৃণার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি নন বলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে আরও দুই নায়িকা-সহ বাকি কলাকুশলীরা সকলেই অপেক্ষা করছেন, কবে পরিস্থিতি ঠান্ডা হবে, আর কাজ শুরু হবে। কারণ তৃণার সঙ্গে অধিকাংশ শ্যুট হয়ে গিয়েছে। তাই কেউই নায়িকা-বদলের পথে হাঁটতে চান না বলেই জানা গিয়েছে।