বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ্যার ছাত্রছাত্রীরা এই ছবি দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। ‘প্যাপায়া’-র প্রযোজক জনা মান্ডি ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের পালোইডাঙা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে বার্লিনে এক বেসরকারি বিনিয়োগ সংস্থায় অপারেশনস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। নিজের শিকড়ের টানেই তিনি এই ছবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে জানান জনা। ছবির কেন্দ্রে রয়েছে তুফান নামের এক আদিবাসী শিশু, যার ছোট্ট একটি স্বপ্ন—সাইকেলে চড়া।
advertisement
এক বন্ধুর শর্ত পূরণ করতে তাঁকে খুঁজে আনতে হয় ‘প্যাপায়া’ নামের এক অজানা ফল, যা সে চিনতেই পারে না। এই খোঁজের মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে গ্রামীণ জীবনের সরলতা, শিশুদের কৌতূহল এবং তথ্যের অভাব কীভাবে বেড়ে ওঠার বাস্তবতায় প্রভাব ফেলে।
ওড়িশার বারিপদার দীপককুমার বেসরা পরিচালিত ছবিটি বিনোদ সিনহার গল্প অবলম্বনে তৈরি। সহ-প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন জনা নিজেই। এর আগে ‘প্যাপায়া’ আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা শিশু অভিনেতা ও সেরা আদিবাসী চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। অসমের গসনার ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও ছবিটি সম্মান পেয়েছে।
টিউবিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদর্শনী শেষে জনা মান্ডির সঙ্গে দর্শকদের এক আলাপচারিতারও আয়োজন করা হয়। প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলের এমন বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা পেয়ে খুশি তার পরিবার এবং ঝাড়গ্রামের মানুষ।
তন্ময় নন্দী