সেই সময় সেভাবে বলিপাড়ায় কাউকেই চিনতেন না নার্গিস। এক বর্ণ হিন্দি না জেনেও রকস্টার ছবিতে কাজ করতে এসেছিলেন নার্গিস। নিউ ইয়র্কে বড় হয়েছিলেন তিনি। না চিনতেন রণবীরকে, না চিনতেন ইমতিয়াজকে। সেভাবে কোনও ধারণা ছিল না তাঁর। সেই কারণেই চূড়ান্ত ভয়ে ছিলেন তিনি। একটি ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমেই নজরে এসেছিলেন তিনি।
ইমতিয়াজের দলের এক সদস্যর, তরফেই নার্গিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অভিনেত্রী যে মুম্বইয়ের বাসিন্দা নন একথা শুনে বেশ অবাক হন তিনি। তখনই, পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে বলেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: না গায়ের রং নীল, না এটি গরু! তাহলে নীলগাই নাম কেন এই প্রাণীর? চমকে দেওয়া কারণ
কিন্তু ইমতিয়াজের দলের সেই সদস্যের কথা শুনে বেশ অবাক হন নার্গিস। বলেন, ‘আমি তো খুব চাপে ছিলাম। কে না কে আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইছে? চুড়ান্ত ভয়ে ছিলাম। আমি তো কাউকে চিনিই না। সোজা সেই মেয়েটিকে বলেছিলাম, যদি আমার কিছু অদ্ভুত লাগে, আমায় যদি কিছু করতে চায় আমি কিন্তু গোপনাঙ্গে লাথি মেরে চলে যাব। আমি নতুন ক্যারাটে শিখেছি, আমার কিন্তু খুফিয়া জিনিস জানা।’
আরও পড়ুন: ছট পুজো কবে? কোন দেবতা উপাস্য এই ব্রতয়, রীতি ও নির্ঘণ্ট জানুন
যদিও, ইমতিয়াজের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরবর্তীতে তাঁর এই ধারণা লোপ পায়। শুধু তাই নয়, ঝাঁকড়া চুলের মানুষটিকে দেখে বেশ পবিত্র মনে হয় তাঁর। সুরক্ষিত থাকবেন, এমনটাই মাথায় এসেছিল তাঁর। রণবীর কাপুরের নায়িকা হিসাবে ‘রকস্টার’ ছবিতে ড্রিম ডেবিউ হয়েছিল নার্গিসের। পরিচালক ইমতিয়াজ আলি, কিন্তু তার পরেও নার্গিসের অভিনয় কেরিয়ার সেভাবে টেক-অফ করেনি।