জানা গিয়েছে, ২৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত তিনদিনের জন্য বনপাস স্টেশনে শ্যুটিং হচ্ছে একটি বাংলা সিনেমার। পরিচালক পৃথা চক্রবর্তীর পরিচালনায় প্রেমের ছবির নাম ‘পাহাড়গঞ্জ হল্ট’। পৃথার এই নতুন ছবিতে জুটি বেঁধেছেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী পাওলি দাম। ঋত্বিক, পাওলি ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, সোহাগ সেনের মতো তাবড় তাবড় শিল্পী।
advertisement
আরও পড়ুন: ধরনা মঞ্চে বড় চমক! তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেতা তরুণ কুমারের নাতি সৌরভ
রেলের অনুমতি নিয়েই তিনদিনের জন্য পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বনপাস স্টেশনে সেট সাজিয়েছেন পরিচালক। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্য জায়গায়। এই ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। রেলের উপর চটেছেন মানুষ।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! দুর্গ থেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা, অক্ষয়ের সেটে মৃত্যু সহকর্মী নাগেশের
এই প্রসঙ্গে বনপাস স্টেশন সংলগ্ন বিল্বগ্রামের বাসিন্দা অসিত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গোটা ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, রেলের জনসংযোগ আধিকারিকের উদাসীনতা রয়েছে। কোন এক সিনেমার শ্যুটিং চলছে বলে কয়েকদিনের জন্য বনপাস স্টেশনের নাম রাতারাতি পাল্টে গিয়ে হল ‘পাহাড়গঞ্জ হল্ট স্টেশন’। খুব ভাল কথা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, রেল কর্তৃপক্ষের বা দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিকের পক্ষ থেকে জনগণের কাছে আগাম কোনও প্রচার বা নির্দেশিকা কেন দেওয়া হল না! পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক বা সেফটি অফিসারের বা রেল কর্তৃপক্ষের একটু বোঝা উচিত ছিল যে, রেল কেবল মাত্র লাভ অর্জনের জায়গা নয়। ভারতীয় রেল হল মূলত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যাত্রী সাধারণের পরিষেবা দেওয়াই তাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। এটা রেলওয়ে আইনেই বলা আছে। সারা ভারতবর্ষের কেন, সারা পৃথিবীর কোনও না কোনও ব্যক্তি যাতায়াতের জন্য রেল পথ ব্যবহার করেন। তর্কের খাতিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু বাইরের অপরিচিত যাত্রীরা অসুবিধার সম্মুখীন হবেনই।’’
এছাড়াও এলাকার বাসিন্দা অশোক সর বলেন, ‘‘স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট কাটতে গেলে তাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শ্যুটিং হওয়ায় নিরাপত্তা রক্ষীরা বাধা দিচ্ছেন। ট্রেন ধরার জন্য প্লাটফর্মে গেলে সেখানেও নিরাপত্তা কর্মীরা সমস্যা সৃষ্টি করছেন।’’
এই প্রসঙ্গে বনপাস স্টেশন ম্যানেজার আনন্দ কুমার জানান, ২৮,২৯ ও ৩০ মার্চ তিনদিনের জন্য এখানে সিনেমার শ্যুটিং চলছে। তাই স্টিকার দিয়ে নাম লেখা হয়েছে ‘পাহাড়গঞ্জ হল্ট’। সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শ্যুটিং চলছে। রেলের উচ্চ আধিকারিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এখানে ছবির কাজ চলছে। স্টেশন বুঝতে যাতে যাত্রীদের কোন অসুবিধা না হয়, তার জন্য ট্রেনগুলি এখানে বেশি সময়ের জন্য স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে।
এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘তিন দিন ওখানে শ্যুটিং হবে। তবে সমস্যা হলে বিষয়টি দেখছি।’’
Bonoarilal Chowdhury