মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী এবং ট্রেজ উইনিয়নের সদস্য সুধা ভরদ্বাজ সেই সময়ের স্মৃতি তুলে ধরলেন সম্প্রতি। মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে রিয়ার সঙ্গেই হাজতবন্দি ছিলেন তিনি। রিয়াকে সেখানে অত্যন্ত সাদামাঠা রূপে দেখেছিলেন সুধা। রিয়া তাঁর সহবন্দিদের সঙ্গে খুব সহজেই মিশে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকি জামিনে ছাড়া পাওয়ার আগে রাতে তাঁর সহবন্দিদের জন্য নাচ করে দেখিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার বাংলা ছবিতে সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী? প্রযোজনায় রানা সরকার
রিয়া ২৮ দিন বন্দি ছিলেন। সুধা ছিলেন মোট ৩ বছর। গত ডিসেম্বর মাসে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। সুধার কথায়, ''সুশান্তের মৃত্যুর পর মিডিয়া ট্রায়ালের মুখে পড়েছিলেন রিয়া। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সমালোচনার শিকার হন তিনি। তাও সবরকম রোষের মোকাবিলা করেছেন সাহসের সঙ্গে। আমরা তখন বলতাম, রিয়াকে বলির পাঁঠা করা হয়েছিল। ওকে বিশেষ সেলে রাখা হয়েছিল বলে খুশিই হয়েছিলাম আমরা। সম্ভবত সেখানে ওকে রাখা হয়েছিল কারণ বিশেষ সেলে টিভি নেই। নয়তো সবাই যেখানে থাকে, সেখানে সারাক্ষণ টিভি চলে। দিনরাত নিজের সম্পর্কে চর্চা শুনলে ওর মন খারাপ হতে পারত।''
আরও পড়ুন: এনসিবি-র মাদক মামলার খসড়া চার্জশিটে নাম সুশান্ত-প্রেমিকা রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিকের
সুধার কথায় জানা যায়, রিয়া প্রথম দিন সেখানে প্রবেশ করার পর থেকেই সকলের সঙ্গে খুব সুন্দর করে মিশে যান। শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলোও করেন। তারকা বলে সবাই কেবল রিয়াকেই খুঁজত। কিন্তু রিয়া সে সব নিয়ে একদিনও অভিযোগ করেননি।
যে দিন তিনি বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে যত টাকা ছিল, তা দিয়ে সকলের জন্য মিষ্টি কিনতে পাঠান। সকলে মিলে তাঁকে বিদায় জানাতে আসেন। তখনই সকলে মিলে রিয়াকে নাচ করার জন্য অনুরোধ জানান। তাঁদের মন রাখার জন্য রাজিও হয়ে যান অভিনেত্রী। সহবন্দিদের সঙ্গে নাচ করেন বাঙালি অভিনেত্রী। রিয়া নাকি বিদায় জানানোর সময়ে বলেছিলেন, এই সমস্ত স্মৃতি তিনি বাড়ি নিয়ে ফিরবেন।