ছবির গল্পের কেন্দ্র এক রিক্সা চালকের মেয়ে ফতেমাকে এবং এলাকার পুরোহিতকে ঘিরে৷ হঠাৎ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ায় রিক্সা চালানো বন্ধ হয়ে যায় এক ব্যক্তির৷ সংসারের একমাত্র উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় মেয়ে ফতেমার পড়াশোনাও। বন্ধ হয় স্বপ্ন দেখাও। ফতেমার স্বপ্ন ছিল, লেখাপড়া করে সরকারি চাকরি পেয়ে বাবার সমস্ত কষ্ট দূর করে দেবে। কিন্তু সংসার চালানোই কঠিন হয়ে গেল এই পরিস্থিতিতে।
advertisement
আরও পড়ুন: মহানায়কের এই ছবিগুলি হয়েছে হিন্দিতেও! অভিনয় করেছেন কারা?
এই সময় এলাকার পুরোহিত সাধন ঠাকুরের সান্নিধ্য পায় ফতেমা। ইতিমধ্যে বাবা মারা যায় তার৷ মাকে হারিয়েছে অনেক আগেই। ফলে পুরোপুরিভাবে পুরোহিতের বাড়িতে জায়গা হল তার। পুরোহিত ফতেমাকে বোনের মতই ভালোবাসে। ফতেমা ও পুরোহিতকে দাদার মতো শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে, ঘরের সমস্ত কাজ করে দেয়। একরকম ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু সমস্যা বাঁধল অন্য দিকে । দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষের একটি ছাদের তলায় বসবাস ভালো চোখে নিল না৷ এরপর দুই আলাদা ধর্মের মানুষের জীবন কোন খাতে বইবে? তার উত্তর মিলবে এই ছবিতে৷
পরিচালক আতিউল ইসলাম জানান “এই ছবিতে দর্শক সমাজের এক ভিন্ন রুপ দেখতে পাবে। মানুষ সবার উপরে, সেটাই এই ছবির প্রাণভ্রমরা। যেখানে দুই ভিন্ন ধর্মের ভাই বোনের পবিত্র সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। ছবির প্রতিটি মোড়ে দেখা যাবে অনন্য টুইস্ট। আশা করছি বাঙালি সিনেমা প্রেমীদের ভাল লাগবে।”
অভিনেতা রাহুল অরুনোদয় বন্দোপাধ্যায় জানান, ‘‘এই ছবিটি আমার অভিনীত ছবি গুলির মধ্যে ভিন্ন ধরনের চরিত্র। এর আগে আমাকে যেমন চরিত্রে সবাই দেখেছে, তার থেকে পুরোপুরি ভিন্ন একটি চরিত্রে দেখা যাবে। একজন ব্রাহ্মণের চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। দর্শকদের ভাল লাগবে এই চরিত্রটি”।