প্রতুলকে মতিঝিলের সবাই পানু দা নামেই চেনে। পানু দা বাড়ির সামনের মতিঝিল মাঠে ফুটবল খেলতেন। হুগলি কলিজিয়েট স্কুলে পড়তেন এবং বরাবর ফার্স্ট হতেন। ভূদেব ভবনে বিয়ে হয়েছিল সর্বানী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তারপর সত্তর দশকে কলকাতা চলে যান। প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে টুকরো টুকরো স্মৃতি রয়েছে চুঁচুড়ার মতিঝিল এলাকার বাসিন্দাদের।
advertisement
তাঁর এক আত্মীয় সুখ রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, খুব ছোটবেলায় দেখেছি। পাশের বাড়ির বারান্দায় অঙ্ক কষতেন। লিখতে লিখতে গোটা মেঝে ভরিয়ে দিতেন। খুব মেধাবী ছিলেন। মতিঝিলের চেকালিন ক্লাবের নামকরণ তারই করা। বন্ধুরা মিলে সরস্বতী পুজো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতেন। পরে দূর্গাপুজো শুরু হয়। যে মাঠে খেলতেন সেই মাঠের নামকরণ করেছিলেন গ্রীন চেক গ্রাউন্ড।
চেকাকিন ক্লাবের পরিচালনায় বারো ভূতে নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ছোটো ভাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় খুব ভাল ছবি আঁকতেন। সেই নাটকের ছবি এঁকে দিতেন। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে বিক্রি হয়ে যায়। ওই বাড়ির বর্তমান বাসিন্দা দিব্যেন্দু চক্রবর্তী বলেন, আমার শ্বশুরের শ্বশুর এই বাড়ি কিনেছিলেন। ওনার মত একজন গুণী মানুষ এখানে থাকতেন আমরা গর্বিত।
আরও পড়ুন-আর সময় নেই…! পৃথিবীর শেষ দিন হবে এটাই! বিজ্ঞানীদের হাড়হিম ৫ ভবিষ্যদ্বাণী জানলে গায়ে কাঁটা দেবে
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রতিবেশি কিশোর চট্টোপাধ্যায় বলেন,সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল গড়ে তুলেছিলেন। কি অসাধারন নাটক করেছিলেন। তাদের বাড়িতে ইলেকট্রিক ছিল না। আমাদের বাড়িতে আলো ছিল। মেঝেতে বসে অঙ্ক কষত। মাঠেই আলোতে পড়ত। বহুদিন যোগাযোগ ছিল না। পরে আমরা যোগাযোগ করি। একবার ক্লাবের অনুষ্ঠানে নিয়ে এসেছিলাম। বলেছিলাম তোমাদের বাড়িটা আছে শুধু তোমরাই নেই।
রাহী হালদার