শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের নতুন বাংলা ছবির শো দেখতে গেল হাজারেরও বেশি শিশুরা।
রাজ্যের বিভিন্ন হোম এবং অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা খুদেদের জন্য এই বিশেষ বন্দোবস্ত করল ডিরেক্টরেট অফ চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্র্যাফিকিং।
নিউজ18 বাংলাকে প্রসূন বললেন, "আজ আমার ছবি সফল বলে মনে হচ্ছে। যাদের জন্য এই সিনেমা বানিয়েছি, তাদের কেউ কেউ আজ প্রথম বার সিনেমা হলে বসে বড় পর্দায় ছবি দেখল। সে যে কী উল্লাস! কী আনন্দ ওদের চোখেমুখে! ঝাঁকে ঝাঁকে বাচ্চারা আমাকে জড়িয়ে ধরতে এল। দুর্দান্ত!"
advertisement
আরও পড়ুন: ৯ রাত না খেয়ে বানানো 'দোস্তজী'র লক্ষাধিক টিকিট বিক্রি হতে চলেছে! বিস্ময়ে প্রসূন
এই শিশুদের মধ্যে কেউ হয়তো বহু দূরে পাচার হয়ে গিয়েছিল, কেউ বা বাবা-মাকে হারিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত যত প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন, আজকের এই প্রতিক্রিয়া, আনন্দ, কোলাহল প্রসূনের কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। আজ তিনি সফল।
মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের দুই খুদে শিশুর অটুট বন্ধুর গল্প থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি। মুক্তির আগেই এই সিনেমার ঝুলিতে এসেছে ৮টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ২৬টি দেশে তাদের অভিনীত সিনেমা দেখানো হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ভগীরথপুরের বাসিন্দা আরিফ সেখ ও আশিক সেখের অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের।
আরও পড়ুন: ‘দোস্তজী’-র তিন খুদের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নিল রঘুনাথগঞ্জের স্কুল
প্রসূনের কথায় জানা গেল, চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তিনি যা খবর পেয়েছেন, প্রথম সপ্তাহে তাঁর ছবির প্রায় ২৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে মোট ৬০ হাজারে। তৃতীয় সপ্তাহের শেষে মোট সংখ্যা নাকি লক্ষাধিক হবে। প্রেক্ষাগৃহের শো-টাইমের সংখ্যাটাও সপ্তাহে সপ্তাহে বেড়েছে। প্রথম সপ্তাহে ২৬টি শো ছিল, দ্বিতীয় সপ্তাহে ছিল ৩৯টি শো, তৃতীয় সপ্তাহে ৬৪টি শো।