পরিচালক শঙ্কর মাহাত লিখেছেন, "ভারতীয় সিনেমা অস্কারের নমিনেশানে ! তথ্যচিত্র ক্যাটাগরিতে। গর্বের মুহূর্ত, পরিচালক সুস্তিত ঘোষ তাঁর প্রথম ছবিতেই বাজিমাত । এটা অনেক বড় প্রাপ্তি , পুরস্কার পেলে তা ভারতবাসীর গর্বের ব্যক্তি হয়ে উঠবে এবং ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এটি সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে । রাইটিং উইথ ফায়ার-এর টিমকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো । আমি খুব খুশি একজন বাঙালি ডিরেক্টর তাও আবার তাঁর প্রথম সিনেমা । গল্পটা পুরো জানিনা তবে, যেটুকু জানতে পারলাম তা হল একটি সংবাদ পত্রের অস্তিত্ব টিকে থাকার লড়াই ও ডিজিটালে প্রবেশ এবং নিম্ন সম্প্রদায়ের মহিলাদের আন্দোলন।"
advertisement
শুভেচ্ছা জানিয়েছন বাঙালি পরিচালকদের আরও অনেকে। সোশ্য়াল মিডিয়াও ভরে গিয়েছে নেটিজেনদের প্রশংসা, স্তুতি বার্তায়। বাঙালির গর্বে আনন্দে বাঙালি।
আরও পড়ুন: আনন্দে লাফিয়ে উঠলেন দুই পরিচালক...! অস্কার দৌড়ে এবার বাঙালির ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’!
মঙ্গলবার অস্কারের (Oscar Nominations 2022) জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই গত বছরের সেরা ডকু ফিচার বিভাগে (Oscar Awards 2022) জায়গা করে নিল দিল্লি পরিচালক রিন্টু থমাস এবং বাঙালি সুস্তিম ঘোষের ছবি ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’। গত বছর জানুয়ারিতে সানডান্স চলচ্চিত্র উৎসবে স্পেশ্যাল জুরি অ্যান্ড অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছিল ছবিটি। তারপর থেকেই ডকু ফিচারটি উঠে আসে চর্চায়। তারপর একের পর এক মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে এই ছবি। এখনও পর্যন্ত মোট ২০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’ (Writing With Fire)।
আরও পড়ুন: মনের মানুষ খাদ্যরসিক? ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে 'হৃদয়' দিয়ে মন জিতে নিন ছু মন্তরে!
ইতিমধ্যেই বিশ্বের চলচ্চিত্র জগতে বেশ চর্চায় এই ছবি। ওয়াশিংটন পোস্ট প্রশংসা করে লিখেছিল, সাংবাদিকতা নিয়ে কার্যত সর্বকালের সেরা ছবি এটি। সহ-পরিচালক সুস্মিত ঘোষ বলেছিলেন, “পরিচালক হিসেবে আমি আর রিন্টু সবসময় সদর্থক ছবি বানাতে ভালবাসি। সেখান থেকেই জন্ম নেয় ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’। যার সফর এখনও পর্যন্ত বেশ সুন্দর।” ২০০২ সাল থেকে কীভাবে এক দলিত মহিলা একটি সংবাদপত্রকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, এই ডকু ফিচারে সেই বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে।"