advertisement
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, ১৯৭২ সালে লতারা গিয়েছিলেন বাংলাদেশে, শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে। সেই সফরের একটি ছবি তখন সম্প্রচারিত হয়েছিল। সেই ছবিতে লতা ও শেখ মুজিবকে দেখা গিয়েছিল এক ফ্রেমে। ইতিহাস বলে, ভারতের এই সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন লতা। সে বারের সফরে ঢাকায় শেখ মুজিবের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিল ভারতের প্রতিনিধি দল। সেই দলে লতা ছাড়াও ছিলেন ওয়াহিদা রহমান, তরুণ সঞ্জয় দত্ত ও তাঁর বাবা সুনীল দত্ত। এক কথায় তারকা সমৃদ্ধ এক দল গিয়েছিল বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন- লতা মঙ্গেশকরের গানের ৭৬০০ গ্রামোফোন রেকর্ড নিয়ে বিরাট কাজ ইন্দোরের ব্যক্তির
১৯৭২ সালে তাঁর বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা মনে করে লতা মঙ্গেশকর ২০১৯ সালে একবার ট্যুইট করে লেখেন, 'নমস্কার। ১৯৭১-এর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, আমরা সেখানে যাই এবং সুনীল দত্তের দলের সঙ্গে বেশ কিছু অনুষ্ঠান করি। সেই সময়ে, সেনা বিমানে করে আমরা সব জায়গায় যেতাম।'
আরও পড়ুন- অবশেষে করোনা নেগেটিভ হিসেবে চিকিৎসা! সন্ধ্যা মুখোপাধ্য়ায়ের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি
লতার সঙ্গে বাংলা ভাষার যোগাযোগ আজকের নয়। লতা নিজেই একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে এসে বলেছিলেন, তিনি হিন্দির পরেই সংখ্যার বিচারে বাংলা ও মারাঠি ভাষায় সর্বাধিক গান গেয়েছেন। একটু আধটু বাংলা জানার কথাও লতা জানিয়েছিলেন। সলিল চৌধুরীর সুরে তিনি একের পর এক যুগান্তকারী গান গেয়েছেন। আকাশ প্রদীপ জ্বলে গানটি, যেটি সুরকার সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টি, বাংলার সঙ্গীতের ইতিহাসে কার্যত ইতিহাস হয়ে আছে। গানটির কথা লিখেছিলেন পবিত্র মিত্র। ফলে বাংলা ভাষা ছিল লতার আত্মার আত্মীয়। সেই বাংলা ভাষার অন্যতম এক প্রাণকেন্দ্র ঢাকার কথা তাই আজীবন স্মরণে ছিল তাঁর।