আদালতে পেশ করা লিখিত জবাবে পুলিশ ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি রিপোর্টেরও উল্লেখ করেছে। আদালতের কাছে আরও জানানো হয়েছে যে, মুম্বইয়ের কলিনায় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে কেমিক্যাল অ্যানালিসিস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল ছুরির তিনটি টুকরোকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে জানা গিয়েছে যে, উদ্ধার হওয়া তিনটি টুকরোই একই ছুরির অংশ।
advertisement
এর পাশাপাশি জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে পুলিশ জানায় যে, অভিযুক্ত একজন বাংলাদেশের নাগরিক। সে অবৈধ ভাবে ভারতে বসবাস করছিল। পুলিশের দাবি, সেই কারণে অভিযুক্তের পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই কোনও ভাবেই তার জামিন পাওয়া উচিত নয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, অপরাধটি অত্যন্ত গুরুতর প্রকৃতির ছিল এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জোরালো প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের সেই ট্যাংরা…বাইক রাখা নিয়ে ধস্তাধস্তি, মৃত্যু! ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে ধৃত ৩
প্রসঙ্গত, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত জামিনের আবেদন জানিয়েছিল। সেই সঙ্গে এও দাবি করেছে যে, তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। জামিনের আবেদনে বলা হয়েছে যে, এফআইআর স্পষ্টতই মিথ্যা এবং তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মধ্যরাতে নিজের মুম্বইয়ের বাসভবনেই এক আততায়ীর হামলার মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা সইফ আলি খান। অভিযোগে বলা হয়েছে যে, রাত ২টো নাগাদ ছোট ছেলে জেহ-র ঘর থেকে এক মহিলাকর্মীর আর্তনাদ শুনতে পেয়েছিলেন অভিনেতা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান তিনি। যার জেরে সইফ এবং হামলাকারীর মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। ফলে হামলাকারীর ছুরির আঘাতে চোট পেয়েছিলেন সইফ এবং ওই মহিলা কর্মীও।
আরও পড়ুন: সংসদে উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন! নওশাদকে আইনি নোটিস পাঠালেন অভিষেক
এদিকে সইফ আলি খানের উপর ছুরিকাঘাত চালানোর অভিযোগ উঠেছে মহম্মদ শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ডাকাতির অছিলায় অভিনেতার বাড়িতে অতর্কিতে প্রবেশ করেছিল সে। প্রায় ৬ বার সইফ আলি খানকে ছুরির কোপ মেরেছিল সে। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিনেতাকে। এরপর চিকিৎসার পর ২১ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।