প্রশ্ন: গয়নার দোকানের উদ্বোধন করলেন, নিজে কী রকম গয়না সারা দিন পরতে পারেন?
নুসরত: আমরা অভিনয় জগতের মানুষ বলে সর্ব ক্ষণ ভারী ভারী গয়না পরতে হয়। শ্যুটের মাঝেই মনে হয়, কান ব্যথা করছে খুলে ফেলি, বা গরম লাগছে খুলে রাখি। তবে হ্যাঁ, হালকা গয়না হলে সব সময়ে পরে থাকতে পারি আমি। রান্না করার সময়ে হোক, বাড়ির কাজ করার সময়ে হোক বা শ্যুটে যাওয়ার সময়ে হোক। আমি হালকা আংটি পরে থাকি সব সময়ে।
advertisement
প্রশ্ন: মায়ের কাছ থেকে কী রকমের গয়না পেয়েছেন?
নুসরত: এটা খুব মজার গল্প। আমার দাদু আমার মাকে বিয়েতে যে গয়না দিয়েছিল, সেটাই আমি মায়ের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছি (হেসে উঠলেন নায়িকা)। আসলে একটা গয়নার অর্থ তো কেবল সাজগোজ নয়, তার সঙ্গে জুড়ে থাকে কত স্মৃতি, অনুভূতি। থাকে বড়দের আশীর্বাদও। তখনকার ঐতিহ্যও জড়িয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: নুসরত না যশ, কে বেশি খেয়াল রাখে? দাদাগিরির মঞ্চে যশরতের প্রেমের আখ্যান
প্রশ্ন: ছেলে ঈশান তো গয়না পরতে পারবে না, তা হলে কী হবে সেগুলির?
নুসরত: ঈশান মেয়ে হলে তো ওকেই দিতাম। ভাবছি, ছেলেদের বউরা যারা আসবে, তাদের যদি আমার পছন্দ হয়, তখনই ওদের হাতে তুলে দেব (হেসে উঠলেন নুসরত)।
প্রশ্ন: ছেলে ঈশানের ছবি কবে দেখতে পাবেন অনুরাগীরা?
নুসরত: আমার আর যশের দু'টি ছেলে। (নুসরতের স্বামী অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রথম পক্ষের ১০ বছরের ছেলেকেও নিজের সন্তানের মতোই যত্ন করেন নায়িকা) ওদের কাউকেই আমরা ক্যামেরার সামনে আনতে চাই না। আর পাঁচটা সাধারণ শিশুর মতো বড় হয়ে উঠুক ওরা, এটাই চাই। ব্যাস। জীবনের ছোট ছোট আনন্দ ওরা পাচ্ছে। আর সেটা ক্যামেরার সামনে আসছে না বলেই সম্ভব হচ্ছে। তা বলে যে অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানকে জনসমক্ষে আনেন, তাঁদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। আসলে এক এক মা-বাবার সন্তান বড় করে তোলার আলাদা আলাদা পদ্ধতি হয়। তাই কবে ওদের ক্যামেরার সামনে আনব, সেই শুভ মুহূর্তটা এখনও বার করে উঠতে পারিনি আমরা। এই সমস্ত কিছুর থেকে আমরা দূরে রাখতে চাই এখনও পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বিদেশ পাড়ি যশ-নুসরতের, সফর সঙ্গী ছোট্ট ঈশান? তারকা জুটির এয়ারপোর্টের ছবি তুমুল ভাইরাল...
প্রশ্ন: তা হলে দুই ছেলে কার দিকে বেশি ঝুঁকেছে? মা নাকি বাবা? ঝগড়া হয়?
নুসরত: ঝগড়া? কে করবে? না, না ওসব হয় না। আসলে একটা শিশুকে তো জিজ্ঞাসা করা যায় না, মা এবং বাবার মধ্যে তুমি কাকে বেশি ভালবাসো? তবে আমার ছেলেরা তাদের বাবার দিকেই বেশি ঝুঁকেছে। মায়ের সঙ্গে সমস্ত দুষ্টুমি।