রুপোলি দুনিয়ায় নিজের জন্য একটা পোক্ত জমি তৈরি করতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল মিঠুনকে। এত জনপ্রিয়তা, এত খ্যাতি কিংবা এত সাফল্য এক দিনে তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘গলিয়োঁ কা বাদশা’ ছবি। তাতে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী ও রাজ কুমারের মতো তাবড় অভিনেতারা। তবে ছবি হিট না হলেও এই ছবিটি চলাকালীন মিঠুন আর রাজ কুমারের যে বাদানুবাদ হয়েছিল, তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। এমনকী সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, ঝামেলা এতটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছয় যে, পরিচালক শ্যুটিং বন্ধ রাখতে বাধ্য হন।
advertisement
কিন্তু কী এমন ঝামেলা হয়েছিল? শোনা যায়, ওই ছবিতে ‘সিকন্দর’ নামের একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন। সেই সময় বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি সিনিয়র অভিনেতা রাজ কুমার। তিনি ওই প্রসঙ্গে তীর্যক মন্তব্য করে বলেছিলেন যে, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো নতুন অভিনেতাদের ছবিতে নেওয়াই উচিত নয়। আর এই কথাটা মিঠুনের কানে যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তিনি।
মিঠুনের মনে হয়েছিল যে, রাজ কুমারের মতো বড় মাপের অভিনেতাদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। তাই তিনিও পাল্টা দিয়েছিলেন। সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও রাজ কুমারের মুখের উপর সটান বলেছিলেন যে, “আজ হয়তো আমি নতুন বলে আপনি আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করছেন, কিন্তু এক দিন আমিও খ্যাতির শীর্ষে থাকব।” এটা শুনে কোনও কথা বলেননি রাজ। খালি হেসেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, মিঠুন অত্যন্ত উদ্ধত। এটা শোনার পরে একই ভঙ্গিতে মিঠুন রাজ কুমারকে একহাত নিয়ে একটা পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, “আপনার মতো এক জন উদ্ধত অভিনেতার সঙ্গে কোনও তরুণ অভিনেতার কাজ করাই উচিত নয়।” স্বাভাবিক ভাবেই, এই কথাগুলির প্রভাব পড়েছিল রাজ কুমারের উপর। এর পর থেকে তিনি আর কখনওই কোনও তরুণ বা নবাগত অভিনেতাকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করেননি।