অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন জুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডিও প্রণয় দাস। মানবজমিন অবৈতনিক বিদ্যালয়, ছবির নামে স্কুল খোলা হল। জুনের সাহায্যে এমনই উদ্যোগ নিলেন রানা-শ্রীজাত-প্রিয়ঙ্কা-জয়। ছবির নামে তৈরি হল বাস্তবের অবৈতনিক স্কুল। নাম রাখা হল মানবজমিন অবৈতনিক বিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: দেড়মাস টানা সেরার আসন দখল জগদ্ধাত্রীর? বন্ধ হচ্ছে কত মেগা! এ কী হাল! TRP তালিকা
advertisement
আরও পড়ুন: শাশুড়ি দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিলেন বৌমার, দ্বিতীয় বিয়ে ফড়িংয়ের, ব্যাঙ্কবাবু কোথায়
শ্রীজাত তাঁর ছবির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে চান। আর খোদ এমন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করার থেকে বেশি উপযুক্ত কীই বা হতে পারে। তাই ফেসবুকে একটি দীর্ঘ লেখা লিখে একটি ভিডিও পোস্ট করলেন পরিচালক-কবি।
শ্রীজাতর লেখায়, 'ছবি তৈরি করার স্বপ্ন কখনও সত্যি হতেও পারে, এই পর্যন্ত ভাবতে পেরেছিলাম। কিন্তু ছবির পর্দায় যে-স্বপ্নের কথা বলতে চাইছি, তাও যে শেষমেশ সত্যি হতে পারে, তা আমি কল্পনাও করিনি। কিন্তু 'মানবজমিন' তার মুক্তির আগেই সেই খোলা আকাশের নীচে গিয়ে দাঁড়াতে পারল। মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে কচিকাঁচাদের ছোট ছোট পা স্কুল অবধি পৌঁছতে পারে না, সেখানে স্কুল নিজেই পৌঁছে গেল তাদের কাছে, 'মানবজমিন'-এর হাত ধরে। এর আদত কৃতিত্ব বন্ধু প্রযোজক রানারই, যে এই স্বপ্ন দেখার সাহস রাখে। আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু জুন পাশে না থাকলেও হত না এসব। আর অবশ্যই 'চূণী কোটাল ট্রাস্ট'-এর সহায়তা। জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট একটা গ্রাম, আরও ছোট্ট তার ছেলেমেয়েরা। খুব শিগগির তারা পড়তে যেতে পারবে 'মানবজমিন' অবৈতনিক বিদ্যালয়ের ক্লাসঘরে। স্বপ্ন তাহলে সত্যি হয়, যদি তার পায়ে পা মেলাতে পারি সকলে মিলে...।'