নব্বইয়ের দশকে বলিউডে রাজত্ব করতেন মমতা কুলকার্নি। ‘করণ অর্জুন’, ‘বাজি’ এবং ‘চায়না গেট’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই যুগের প্রথম সারির সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম মমতা। আর নিজের অভিনয় দক্ষতা এবং সৌন্দর্যের জোরে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
advertisement
মমতা কুলকার্নি কবে সন্ন্যাস নিয়েছিলেন?
নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সাহসী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির সন্ন্যাস নেওয়ার কথা শুনে সকলেই চমকে গিয়েছিলেন। এরপর মহাকুম্ভে তিনি মহামণ্ডলেশ্বর তকমা নেওয়ার পর তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুধু তা-ই নয়, সাধু-সন্ন্যাসীরা অভিযোগ তুলতে শুরু করেন যে, এক দিনে কেউ সাধু অথবা সন্ন্যাসী হতে পারেন না। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, মমতা কুলকার্নি কি সত্যি সত্যিই সন্ন্যাসী? তাঁর গেরুয়া বস্ত্র কি নাটক? আর মমতা কুলকার্নির কি সত্যিই বেদ কিংবা শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে? তিনি কি আদৌ তপস্যা করেছেন? আর এই সমস্ত কিছুর জবাব অভিনেত্রী দিচ্ছেন ইন্ডিয়া টিভি-র শো ‘আপ কি আদালত’-এ।
মমতা কুলকার্নি কি ছবির জগতে ফিরবেন?
আসলে মমতা কুলকার্নি উপস্থিত হয়েছিলেন ইন্ডিয়া টিভি-র শো ‘আপ কি আদালত’-এ। যেখানে রজত শর্মার তীক্ষ্ণ প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী। ওই শোয়ের কিছু প্রোমো ভাইরাল হয়েছে। আধ্যাত্মিকতার পথ গ্রহণ করার সিদ্ধান্তের পর ছবির দুনিয়ায় আর প্রত্যাবর্তন না করার কথাও বলেছেন মমতা। বলেছেন যে, এটা পুরোপুরি অসম্ভব। অভিনেত্রীর কথায়, “আবারও ছবিতে কাজ করার কথা কল্পনা করতে পারছি না। এখন এটা আমার জন্য একেবারেই অসম্ভব।”
বসে ভুল মন্ত্র পাঠ এবং ট্রোলিংয়ের শিকার
ভাইরাল ভিডিও-য় সন্ন্যাস নেওয়ার পর বেদ এবং ধর্মশাস্ত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তিনি বসে চোখ বুজে মন্ত্রপাঠ করতে শুরু করেন। যদিও যে মন্ত্র তিনি পাঠ করেছিলেন, সেটা ভুল ছিল। এরপরেই শুরু হয় ব্যাপক ট্রোলিং।
মমতা কুলকার্নির অবসর নিয়ে বিতর্ক
মমতা নিজের আধ্যাত্মিক সফরকে গভীর ভাবে সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন। যদিও নিজের আধ্যাত্মিক সফর শুরু করার কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে কিন্নর আখড়া থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিয়োগের জেরে আখড়ায় প্রচুর বিরোধিতা আসে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিন্নর আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা অজয় দাসের সঙ্গে আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর মতপার্থক্য দেখা দেয়। যেখানে তিনি ত্রিপাঠীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। জবাবে লক্ষ্মী নারায়ণ এক নতুন বিতর্কের সূচনা করেন। তিনি দাবি করেন যে, এই কাজ করার কোনও ক্ষমতা নেই অজয় দাসের।