কিন্তু প্রায় সব ছবিতেই তিনি একই ধরনের চরিত্র পাচ্ছিলেন ৷ ‘সাহসী’ তকমা ছাড়িয়ে বাইরে পা রাখতে পারছিলেন না ৷ সেই কারণে বেশ কয়েক বছর দূরে ছিলেন অভিনয় থেকে ৷ নিজেই জানিয়েছেন তিনি ৷ বলেছেন, ‘কোনও আকর্ষণীয় কাজের সুযোগ আমার কাছে আসছিল না ৷ সাহসী তরুণী বা ডান্স নাম্বার করে অর্থোপার্জন করছিলাম ঠিকই ৷ কিন্তু সেটা আমি চাইনি ৷ অর্থহীন গ্ল্যামারসর্বস্ব চরিত্রে অভিনয় করে যেতে আমি আগ্রহী নই ৷ সেভাবেই এগোতে থাকলে চ্যালেঞ্জিং কাজ কিছু পেতাম না ৷ কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসা খুব প্রয়োজনীয় ছিল ৷’’ স্বীকার করছেন তিনি ৷
advertisement
বিনোজন জগতে ২০ বছর কাটিয়ে দেওয়ার পর নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে চাইছেন মল্লিকা ৷ আমেরিকায় গিয়ে অভিনয়ের পাঠও নিয়েছেন তিনি ৷ মল্লিকা মনে করেন, ওটিটি-র যুগে অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার খুবই প্রয়োজনীয় ৷
আরও পড়ুন : ‘হাজার ব্যাঙের ডাক আসলে তাঁর সমাজসেবা’! কটূক্তির সপ্রতিভ উত্তর ‘ব্যর্থ নায়ক’ ফরহান আখতারের
খুব শীঘ্র তাঁকে দেখা যাবে ওটিটি মঞ্চে ৷ তিনি মনে করেন ওটিটি অনেক বাধা ভেঙে দিয়েছে ৷ কুশীলব, বিশেষ করে অভিনেত্রীদের কাছে ভাল সুযোগ পৌঁছনর পথ খুলে দিয়েছে ৷
মল্লিকা বলেছেন, ‘‘এমনকি আজও মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনেত্রীরা নীতিশিক্ষার গণ্ডিতে ঘেরা ৷ পুরুষশাসিত ইন্ডাস্ট্রিতে ছেলেদেরই কাজের সুযোগ বেশি ৷ কিন্তু ওটিটি-র আগমনে পুরো ছবিটাই পাল্টে গিয়েছে অভিনেত্রীদের সামনে ৷
আরও পড়ুন : সন্তানের নাম কী হবে, ঠিক করতে পারেন শুধু তার বাবা, মা-ই, করিনার পাশে ননদিনী সাবা
তিনি যে বিদ্যা বালন এবং শেফালি ছায়ার অভিনয়ের ভক্ত, সে কথা জানাতে ভোলেননি মল্লিকা ৷ ‘শেরনী’, ‘পিকু’, ‘রাজি’-র মতো নারীকেন্দ্রিক ছবি তাঁর পছন্দের ৷ তিনি মনে করেন, সব ধরনের স্টিরিয়োটাইপ ধ্যানধারণা ভেঙে চুরমার করে দেবে ওটিটি মঞ্চ ৷