পশ্চিমবঙ্গের এক বিখ্যাত রিয়্যালিটি শো থেকে নোবেল জনপ্রিয়তা পান। তারপর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে হঠাৎ করেই জড়িয়ে পড়তে থাকেন নানা বিতর্কে। কখনও ব্যক্তিগত সমস্যা, আবার কখনও পেশাগত বিতর্কের কারণে তিনি উঠে এসেছেন শিরোনামে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সুর্বণ জয়ন্তী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়েছিলেন নোবেল। সেখানেই মঞ্চে উঠে মত্ত নোবেল অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেন। প্রথমে মঞ্চে উঠে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে, তারপরে জুতোপেটা! স্বামী নোবেলের কাণ্ডে মুখ খুললেন স্ত্রী
তারপর হঠাৎ চিৎকার শুরু করেন “আমার চশমাটা কই” বলে। তারপর চশমা পেয়ে চোখে পরে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি শুরু করেন। বেসুরো গলায় কিছুটা গেয়েই মাইকের স্ট্যান্ড ভাঙতে শুরু করেন। তাঁর এই আচরণ দেখে দর্শকরাও ক্ষেপে ওঠে। তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো, জলের বোতল ছুড়তে শুরু করেন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জনপ্রিয়তা হারিয়েই কি কমছে টিআরপি? 'অনুরাগের ছোঁয়া' নিয়ে মুখ খুললেন দিব্যজ্যোতি
এই বিষয়ে বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আয়োজকদের পক্ষ থেকে সরবারহ করা কয়েক পেগ মদ। তা তিনি পান করেন। কিন্তু এতে তিনি মাতাল ছিলেন না বলে গায়কের দাবি। নোবেল বলেন ‘আমি মদ্যপ ছিলাম না। এটা স্রেফ একটা দুর্ঘটনা। আমি আবারও ওই মঞ্চে গান করব আশা রাখি। আমি দুই-তিনটি ক্লাবের সদস্যও। আমার মদ্য পানের লিগ্যাল লাইসেন্স রয়েছে। সেদিন অনেকটা পথ জার্নি করে ডিহাইড্রেটেড হয়ে গিয়েছিলাম। এমন না যে সেদিন আমি মাতাল ছিলাম। কোনও ভাবে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আমার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বা কথায় সেখানকার আমার হাজার হাজার শ্রোতা কষ্ট পেয়েছেন। আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু তাদের থেকে আমি পঞ্চাশগুণ বেশি কষ্ট পেয়েছি আমার এই আচরণে।’
মদ্যপানের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, "আয়োজকদের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল মদ। স্টেজে উঠার আগে হালকা একটু রিলাক্সেশন, হালকা একটু ফিলিংসের দরকার পড়ে। অতিরিক্ত পান করার ধারে কাছে যাইনি। এক-দু পেগ খেয়েছি সেখান থেকে। আসলে সিচুয়েশনটা অতটা খারাপ ছিল না, যতটা মানুষ তুলে ধরেছেন। শুধু একটা বোতল ছুড়ে মেরেছিল। এটুকুই আমি বলতে পারি। এমন না যে আমি অজ্ঞান ছিলাম।"