কিংবদন্তি শিল্পীর প্রসঙ্গ টেনে এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে রাজেশ তোপে বলেন, “আমার প্রতীত সমধানীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি সুস্থ হচ্ছেন। ভেন্টিলেটরের সহায়তাও প্রয়োজন হচ্ছে না আর। শুধুমাত্র অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে থাকে। রয়েছেন সজ্ঞানে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। যদিও দুর্বলতা রয়েছে তাঁর।”
আরও পড়ুন : জ্ঞান ফিরেছে, বন্ধ হয়েছে ভেন্টিলেটরও! লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্যের সামান্য উন্নতি
advertisement
প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি আচমকাই লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। শোনা যায় তিনি কোভিডে আক্রান্ত। রয়েছে নিউমোনিয়াও। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১১ তারিখ নয় তিনি ভর্তি হয়েছেন তারও দিন কয়েক আগে। চিন্তায় পড়ে যান ভক্তমহল। এরইমধ্যে লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে রটে নানা ভুয়ো খবরও। এর পরেই তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয় তাঁকে নিয়ে কোনও মিথ্যে সংবাদ যাতে পরিবেশিত না হয়।
সুরসম্রাজ্ঞী যে ধীরে ধীরে অনেকটাই বিপদ কাটিয়ে উঠছেন সেই বার্তা রবিবার আগেই জানিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন বেশ কয়েকদিন হল ভেন্টিলেটর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও আইসিইউতেই রাখা হয়েছে শিল্পীকে (Lata Mangeshkar)।
আরও পড়ুন : স্থিতিশীল হলেও এখনও সঙ্কটমুক্ত নন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়! চিকিৎসকরা কী জানাচ্ছেন
লতা মঙ্গেশকরের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৯২ বছরের এই শিল্পী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন (Lata Mangeshkar Health Update)। সামান্য উপসর্গই দেখা গিয়েছিল তাঁর। গত ৪ জানুয়ারি দক্ষিণ মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় লতা মঙ্গেশকরকে। ডাঃ প্রতীত সামদানি এবং তাঁর চিকিৎসকদের দল লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্য বিষয়ক (Lata Mangeshkar Health Update) তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বকালের প্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর ১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন এবং বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় ৩০,০০০ টিরও বেশি গান গেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে আপামর ভারতীয়কে নিজের কণ্ঠের মায়ায় মুগ্ধ করে রেখেছেন লতা মঙ্গেশকর। নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনে, তিনি ‘আজিব দাস্তা হ্যায় ইয়ে’, ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’, ‘নীলা আসমান সো গয়া’, এবং ‘তেরে লিয়ে’-র মতো অসংখ্য গানকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছেন। শুধু হিন্দি নয়, ভারতের অসংখ্য ভাষায় লেখা গান তাঁর কণ্ঠের ছোঁয়া পেয়েছে।