আমরা তো শ্রমিক নই ৷ আমরা শিল্পী ৷ শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক পরিশ্রমটাও বড্ড বেশি হয় ৷ আর সেইটাই আলোচনার জায়গা ছিল ৷ এর পাশাপাশি পারিশ্রমিকের বিষয়টাও কিন্তু দেখার ৷ হ্যাঁ আমি প্রত্যেক মাসের পারিশ্রমিক প্রত্যেক মাসে পাই ৷ কিন্তু আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি যাঁদের সঙ্গে এই সমস্যাটা হয়ে চলেছে ৷ এমনকী আমার সিরিয়ালে অভিনয় করেন, এমন অনেকের সঙ্গেই এই ঘটনাটা ঘটছে ৷ যার জেরে সংসার চালানোটা দায় হচ্ছে ৷ এই সমস্যাটা কিন্তু গুরুতর ৷ এটাই তো আমাদের রুজি-রুটি জোগায় ৷ প্রতিনিয়ত শিল্পীরা স্ট্রাগল করছে ৷ সেই স্ট্রাগলের তো একটা যোগ্য সম্মান দেওয়া প্রয়োজন ৷ তাই নয় কী?
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়ে কাঁটা হয়ে আছি : মধুমিতা
অনেকেই হয়তো জানেন না, টেকনিশিয়ানদের কত খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ৷ ৯০ শতাংশ আর্টিস্ট খুব খারাপ অবস্থায় আছেন ৷ সে কথা তো কেউ জানেনই না ৷ সবাই শুধু বাইরের চাকচিক্যটুকুই দেখেন ৷
আরও পড়ুন: প্রযোজকদের আচরণ বড্ড অমানবিক, যা দুঃখজনক : দেবযানী
এ সব নিয়েই দু’তরফে আলোচনা হয়েছে ৷ তবে রফাসূত্র বের হয়নি ৷ দর্শকদের স্বার্থে, বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে, শিল্পের স্বার্থে যত তাড়াতাড়ি মধ্যস্থতায় আসা যায় ৷ ততই মঙ্গল ৷ কিন্তু হ্যাঁ তবে দেখতে হবে, সব তরফের সম্মান যাতে বজায় থাকে ৷ এমন ভাবে মধ্যস্থতা হোক ৷ যাতে পরে গিয়ে কারও মনে না হয় যে,সম্মানহানি হচ্ছে ৷ আর্টিস্ট ফোরাম যেমন বলেছে, শিল্পীদের স্বার্থ যাতে বিঘ্নিত না হয় ৷ তেমনই প্রজোযকরা অভিযোগ এনেছেন যে, অনেক শিল্পীরা সময়মতো আসেন না ৷ তা হলে তাঁদের দিয়ে দশ ঘণ্টা শুটিং কী করে করানো যাবে ? এই প্রশ্ন তাঁরা তুলেছেন ৷ আমার মত হল, নিময় আনা হোক ৷ সব কিছুর যেমন নিময় তৈরি হচ্ছে ৷ এ বিষয়টি নিয়েও নিয়ম তৈরি হোক ৷ তবে তো সবারই স্বার্থই পূরণ হবে ৷ মোট কথা যত দ্রুত সম্ভব শুটিং শুরু হোক ৷
অনুলিখন: অমৃত হালদার ৷