Klikk Originals-এর আগামী ওয়েব সিরিজ NH6 প্রযোজনা এবং পরিচালনা করছেন জন হালদার। আর এই সিরিজে অভিনয় করেছেন রাজেশ শর্মা, দেবলীনা দত্ত, যুধাজিৎ সরকার, গৌরব মল্লিক এবং মধুমিতা সেনগুপ্ত।
থ্রিলারধর্মী এই কাহিনীটি লিখেছেন সৌমিক চট্টোপাধ্যায়। কার্যনির্বাহী প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন প্লাবন বসু। সিনেম্যাটোগ্রাফি এবং সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন যথাক্রমে অনির এবং দিশারী। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লেখার পাশাপাশি প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য। আর সম্পাদনা করেছেন কৌশিক সরকার।
advertisement
আরও পড়ুন- নাম ভূমিকায় জিতু কমল, বাংলা বাজারে অভিষেক নতুন গোয়েন্দার
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বব এবং তাঁর স্ত্রী নিমিশাকে ঘিরে আবর্তিত হয় গল্পের প্রেক্ষাপট। স্ত্রী-কে নিয়ে প্রথম বার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় হাইওয়ের মাঝে কিছু রহস্যজনক ঘটনার সম্মুখীন হন বব। নিমিশা রহস্যজনক ভাবে আচমকাই উধাও হয়ে যান। পুলিশের দ্বারস্থ হন বব। কিন্তু সেখানে গিয়ে আর এক কাণ্ড! ববকে কেউ বিশ্বাসই করতে চান না। এদিকে শাশুড়িও চিনতে অস্বীকার করেন জামাইকে। এবার নিমিশার অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। ইতিমধ্যেই অপহরণকারীরা ফোন করে ববকে। নিমিশার জন্য মুক্তিপণ চায় তারা। এভাবে ক্রমশ আরও জটিল হতে থাকে বিষয়টা। আর কাহিনী যত এগোতে থাকে, দেখা যায় যে, এর পিছনে রয়েছে এক কুচক্রী! কিন্তু কে সে? এর উত্তর দেবে NH6!
আরও পড়ুন– সুখের সংসারে যেন কালো মেঘের ছায়া; ৬ জন স্ত্রী-কে নিয়ে বেজায় মুশকিলে যুবক !
পরতে পরতে রহস্যে মোড়া এই সিরিজ প্রসঙ্গে প্রযোজক-পরিচালক জন হালদার বলেন, “পাহাড়, জঙ্গল এবং থ্রিলার আমার অত্যন্ত পছন্দের বিষয়। যখন আমার সমসাময়িক পরিচালক সৌমিক চট্টোপাধ্য়ায় নিজের লেখা গল্পটির কথা আমায় জানান, আমি তখনই এই ছবিটি সঠিক ভাবে করার সিদ্ধান্ত নিই। আর ঝাড়খণ্ডের সঙ্গেও আমার একটা যোগসূত্র রয়েছে। ফলে বহু দিন ধরেই সেখানে আমি শ্যুট করতে চেয়েছি। আর আমাকে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেওয়ার জন্য Klikk-এর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমার কাছে একটা বড় একান্নবর্তী পরিবারের মতো!”
আরও পড়ুন-দক্ষিণী ছবির দুনিয়ার জনপ্রিয় শিশু শিল্পীই এখন আইএএস অফিসার; তাঁর সাফল্যের গল্প গড়েছে নজির
অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “জন এবং আমি সমসাময়িক। আর আমি তাঁর পরিচালনা বেশ পছন্দই করি। যুধাজিৎকে সহ-অভিনেতা হিসেবে পাওয়াটাও একটা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। আসলে যুধাজিৎ তাঁর নিজের প্রজন্মের অত্যন্ত বলিষ্ঠ অভিনেতা। আর রাজেশ শর্মা তো সকলেরই পছন্দের অভিনেতা। Klikk-এর সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় সিরিজ। আর দু’টো সিরিজের বেশির ভাগটাই আউটডোরে শ্যুট হয়েছে। Klikk অনেকটা পরিবারের মতো হয়ে উঠেছে। শ্যুটিংয়ের এই অভিজ্ঞতা মনকে তরতাজা করে দিয়েছে।”
আবার অভিনেতা যুধাজিৎ সরকারের কথায়, “এই কাহিনিটি একটি হাইওয়েকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে, ফলে বাস্তবে এমন একটি জায়গায় শ্যুটিং করা গোটা টিমের কাছেই চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা ভাগ্যবান যে, আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা পেয়েছি। আমাদের পরিচালক জন হালদার এবং চিত্রনাট্যকার সঞ্জয় ভট্টাচার্য গোটা টিমকে সব সময় উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। আর দেবলীনা দত্তের সঙ্গে কাজ করার মজাই আলাদা। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। এর পাশাপাশি রাজেশ শর্মার মতো বলিষ্ঠ অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান বলে মনে করি। আর আমাদের সিনেম্যাটোগ্রাফার অনিরও দুর্দান্ত। KLikk-এর সঙ্গে এটা আমার চতুর্থ কাজ।”