আইনি বিচ্ছেদ হওয়ার আগে থেকেই করিশ্মা আলাদা থাকা শুরু করেছিলেন। ২০০৩-এ বিয়ের পর থেকেই সঞ্জয় এবং তাঁর মা দু'জনে মিলে করিশ্মার উপর অত্যাচার চালাতেন। করিশ্মার অভিযোগ, সঞ্জয় নাকি আর্থিক প্রতিশ্রুতি পালন করতেন না। উল্টো দিকে সঞ্জয় বলেছিলেন, করিশ্মা নাকি তাঁকে টাকার জন্য বিয়ে করেছিলেন কেবল। করিশ্মার সঙ্গে বিয়ের পরেও নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে এমনকি শারীরিতক সম্পর্কও বজায় রেখেছিলেন সঞ্জয়। বাধা দিলে কপূর-কন্যাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করতেন ব্যবসায়ী।
advertisement
তা ছাড়া করিশ্মা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তাঁর শাশুড়ি একটি পোশাক তাঁকে পরতে দেন। কিন্তু শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য পোশাকটি তাঁর গায়ে আঁটেনি বলে সঞ্জয় তাঁর মাকে করিশ্মাকে থাপ্পড় মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: 'মায়ের মতো বিয়ে না করে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সাহস নেই', বলেছিলেন মাসাবা
কিন্তু সব থেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল তাঁদের মধুচন্দ্রিমায়। বিয়ের শুরুতেই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি বলি অভিনেত্রীর।
মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে সঞ্জয় তাঁর স্ত্রীকে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে সঙ্গম করতে জোরাজুরি করেছিলেন। এমনকি বন্ধুদের কাছ থেকে টাকাও চেয়েছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু বলি নায়িকা সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সেখানেই তাঁকে মারধর করেন সঞ্জয়৷ তার পরেও ১১ বছর ধরে সেই মানুষটির সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন করিনা কপূর খানের দিদি।
অনেক দিন পর্যন্ত আইনি লড়াই করার পর দুই সন্তানের দায়িত্বভার পেয়েছেন করিশ্মা। তাঁর বাবা রণধীর কপূর এক সাক্ষাৎকারে নিজের জামাইকে 'জঘন্য মানুষ' আখ্যা দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, সঞ্জয় মদ খেয়ে তাঁর মেয়ের গায়ে হাত তোলেন।