সময় খুবই কম ছিল। তাই কারও সঙ্গেই খুব বেশি কথা বলা হয়নি। তবে শাহরুখের সঙ্গে তাঁর আগামী ছবি 'পাঠান' নিয়ে খানিক কথাবার্তা হয় জুনের। তা ছাড়া জয়া বচ্চনের সঙ্গে তো জুনের আলাপ আজকের নয়। একসঙ্গে তাঁরা ছবিও করেছেন। তাই এই সম্পর্ক অনেকদিনের। জয়া তাঁর স্বামী অমিতাভের কীর্তি নিয়েই কথা বললেন জুনের সঙ্গে। ফেস্টিভ্যালে আসার আগের দিনই নাকি পায়ে চোট পেয়েছেন বাংলার জামাইবাবু। আর তাই কেডস জুতো পরেই কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আসতে হয়েছে তাঁকে। জুন তাঁকে আরও কয়েকটা দিন থাকার কথা বলেন। কিন্তু সংসার ফেলে বেশি দিন অন্য শহরে থাকা সম্ভব হবে না বলেই আগামিকাল, শনিবার মুম্বই ফিরে যাবেন 'ধন্যি মেয়ে'।
advertisement
আরও পড়ুন: আমার কাজ সাড়া ফেলেছে বলেই হয়তো এই সম্মানটা পেলাম: KIFF নিয়ে আপ্লুত রুক্মিণী
জুনের কথায়, ''যত বড় তারকাই হোন না কেন, সকলেই তো মানুষ। সকলেরই ঘর সংসার আছে। সামলাতে হয় তো। তাই বুঝতে পারি অসুবিধাটা।''
রানির সঙ্গে জুনের বাক্যালাপের কথাও জানা গেল। রানি-কন্যা আদিরা নাকি মাকে ছাড়তেই চাইছিল না। খুদের চিন্তা, মা আমাকে ছেড়ে কোথায় যাচ্ছে? রানি মেয়েকে বোঝান, তিনি কলকাতা যাচ্ছেন, নিজের মাতৃভূমিতে, একই দিনে মেয়ের কাছে ফিরে যাবেন তিনি।
বলি তারকাদের সঙ্গে জুনের আলাপ-আলোচনায় ঘরোয়া ভাব ফুটে ওঠে। পরিচয় তো আজকের নয়, বহু বছরের। আর তাই যেন চাঁদের হাটেও আন্তরিকতার ছোঁয়া ছিল।
আরও পড়ুন: জামাইয়ের সামনে মেয়ের দাম খুব কম, 'বাপেরবাড়ি'তে এসে জয়া
তবে এই বারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জুনের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পায় অন্য আর একটি মানুষের জন্য। আর তিনি হলেন অরিজিৎ সিং। মুর্শিদাবাদের ছেলে আজ বিশ্ব কাঁপাচ্ছেন তাঁর কণ্ঠের ম্যাজিকে। কিন্তু একইসঙ্গে তাঁর মানবদরদী সত্তা গোটা দেশের মানুষের মনজয় করেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন জুনও।
অভিনেত্রী-রাজনীতিকের কথায়, ''আমি অরিজিৎকে সংবর্ধনা দিয়েছি। এটা আমার বড় পাওনা। আমি সত্যি ওঁর গানের বড় ভক্ত। আর মানুষ হিসেবে উনি এত সুন্দর একজন মানুষ! ওঁর সামাজিক দায়িত্ববোধের কুর্নিশ জানাই। জিয়াগঞ্জে দেখে এসেছি নিজের চোখে। ওখানকার মানুষের জন্য অরিজিৎ যা যা কাজ করছেন, তা অতুলনীয়। শিল্পী তো অনেকেই, কিন্ত তার উর্ধে গিয়ে ওঁর যে কাজ, তা শেখার মতো। ওঁকে আমি আলাদা চোখে দেখি।''