সুরকার জয় ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'বাঙালি জাতি আরও ১০০ বছর পিছিয়ে গেল!' কেকে-র কনসার্টে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, কেকে-র অসুস্থতার জন্য যে রকম ভাবে বার বার উপচে পড়া ভিড় এবং উদ্যোক্তাদের ব্যবস্থাপনার দিকে আঙুল তোলা হয়েছে, জয় কি সেই ইঙ্গিত করতে চাইলেন? তবে কি তিনিও মনে করেন যে বাঙালি জাতি যদি খানিক শৃঙ্খলা মেনে চলতেন, তা হলে বোধ হয় এই রকম ভাবে অসুস্থ হতেন না কেকে? উত্তর মেলেনি। কারণ নিউজ১৮ বাংলার তরফে তাঁকে ফোন করে পাওয়া যায়নি৷
advertisement
তবে সেই পোস্টের তলায় জয়ের স্ত্রী, গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র তাঁর সঙ্গে সহমত হলেন না। তিনি লিখলেন, 'নেগেটিভ কথা না লিখলেই নয়? ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে শেখো। এখনও সময় আছে। নিজে ঠিক থাকো।' তার মানে লোপামুদ্রা বাঙালি জাতিকে দায়ী করতে রাজি নন?
কেকে-র মৃত্যুর পরের দিন গায়িকা একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। সেখানে নিজের বক্তব্যকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছিলেন তিনি৷ তাঁর লেখায়, 'যে পরিস্থিতিতে এই মৃত্যু হয়েছে, সেটা কাম্য নয়। সকলেই আমরা গ্রীষ্মকালে এই অবস্থার শিকার হই। কিন্তু কেকে-র মৃত্যু শিক্ষা দিল সকলকে। শিল্পী, ম্যানেজমেন্ট টিম, প্রশাসন, সকলকে।' সেই শিক্ষাকেই সঙ্গে নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন লোপামুদ্রা। প্রত্যেককেই। সম্ভবত এমনকি নিজের স্বামীকেও। তিনি সেই পোস্টের শেষেও ইতিবাচকতার কাঠি ছুঁয়ে দিয়েছেন। লিখেছেন, 'একটাই তো জীবন, আর সেটাও আজ আছে, কাল নেই। বাঁচো, বাঁচো । হই হই করে বাঁচার আনন্দে বাঁচো। কেকে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত্য গান গাওয়ার আনন্দে বেঁচেছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, এভাবেই যেন শেষদিন পর্যন্ত্য আনন্দ বিলিয়ে মরতে পারি। সবাই ভালো থাকো, ভালোবাসো। শান্তি, শান্তি, শান্তি।'
তার মানে কি সুরেলা দম্পতি কেকে-র মৃত্যুঘটনাকে দু'টি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখছেন?
আরও পড়ুন: 'ভালো মানুষরা কম বয়সেই মরে যায়!' কেকে-র সঙ্গে গাওয়া শেষ গানের ভিডিও শেয়ার করে আবেগে ভাসলেন পলাশ সেন!
আরও পড়ুন: হৃদযন্ত্রের চারপাশে পুরু মেদের আস্তরণ! ১০ রকমের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধও খেয়েছিলেন কেকে