#মুম্বই: 'কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল'। কলকাতায় শেষ এই গানটিই গেয়েছিলেন কেকে। তখন কেউ জানত না, এটাই তাঁর শেষ গান। জানলে হয়ত তাঁর অগুন্তি ভক্তরা এমনটা কখনই হতে দিতেন না। সকলকে কাঁদিয়ে এভাবে কেকে চলে যাবেন কেউ ভাবেননি। আজ মুম্বইতে কেকে-র শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শরীরে আর কেকে নেই। কিন্তু মনে? হাজার হাজার মানুষের মনে তিনি বেঁচে থাকবেন চীরকাল। তাঁকে ভুলতে পারবে না গোটা দেশ। যেমন ভুলতে পারছেন না তাঁর বন্ধু 'ইউফোরিয়া'র পলাশ সেন। কেকে-কে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট করলেন 'ইউফোরিয়া'র জন্মদাতা।
১৯৮৮ সালে দিল্লিতে 'ইউফোরিয়া' ব্যান্ডের জন্ম দেন পলাশ সেন। 'কাভি আনা তু মেরি গলি'-র মতো বহু গান সে সময় রাতের ঘুম কেড়েছিল। তাঁর ঠিক দশ বছর পর কেকে তাঁর প্রথম গানের অ্যালবাম প্রকাশ করে আলোরণ তৈরি করেছিলেন। সেই থেকেই কেকে ভীষণ পছন্দের মানুষ পলাশ সেনের কাছে। দীর্ঘ বন্ধুত্ব তাঁদের। কিন্তু কাজের সূত্রে দু'জনেই ব্যস্ত। তাই দেখা সাক্ষাৎ প্রায় হত না।
তবে ২০২২-এর ১১ ফেব্রুয়ারি পলাশ সেন, কেকে ও শানের জীবনে এক অনন্য দিন ফিরে এসেছিল। সৌজন্যে ছিলেন কপিল শর্মা। এই তিন গানের তারকাকে ডাকা হয়েছিল কপিল শর্মার কমেডি শোতে। সেখানেই দীর্ঘ সময় পর দেখা হয় দুই বন্ধুর। পলাশ সেন ও কেকের। গানে, আড্ডায় ভরে উঠেছিল তাঁদের সেই দিন। কেকে ও পলাশ সেন প্রমিস করেছিলেন এবার থেকে প্রায় তাঁরা দেখা করবেন। বছরে অন্তত্য কয়েকবার দেখা করতেই হবে। কিন্তু সে সুযোগ দিলেন না কেকে। সকলকে কাঁদিয়ে গান করতে করতেই চলে গেলেন চীর কালের জন্য।
আরও পড়ুন: "আমার অনুষ্ঠানের ধরণ আর রূপঙ্কের ধরণ এক নয়! অনুমতি ছাড়া নাম জড়ান কেন?" প্রতিবাদে রূপম ইসলাম
বন্ধুর শোকে কাতর পলাশ সেন। 'ইউফোরিয়া'র ফেসবুক পেজে তিনি লিখলেন, "২০২২-এর ১১ ফেব্রুয়ারি আমি বহু বছর পর একটা সুযোগ পেয়েছিলাম তাঁর সঙ্গে দেখা করার। কপিল শর্মার শোয়ের শ্যুটে। সেদিন আমি তাঁকে বলতে পেরেছিলাম যে আমি ভগবানের কাছে কতটা ঋণি, যে তিনি আমার জীবনে কেকে-কে এনে দিয়েছেন। আমরা হেসেছিলাম, এক সঙ্গে গান করেছিলাম। আমাদের জার্নির কথায় মেতেছিলাম। আমরা মাঝে মাঝে দেখা করার প্রমিস করেছিলাম। কিছুটা করেছিলাম আমি জানি। আমি আমার হৃদয়ের একটা অংশকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি কেঁদে কেঁদে নদী করে ফেলি, যত খুশি শব্দ লিখি না কেন, আমি তার পরেও বোঝাতে পারবো না, আমার কতটা কষ্ট হচ্ছে। কেকে আমার কাছে কতটা ছিল, আমি বোঝাতে পারবো না। সবাই বলে ভাল মানুষরা অল্প বয়সেই মরে যায়। কেকে শুধু ভাল না আমাদের সকলের মধ্যে সব থেকে সেরা ছিল।"
এই দিন এক সঙ্গে শান, কেকে ও পলাশ সেন গেয়েছিলেন, " ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়।" এই গানে তিন বন্ধু যেন মিশে গিয়েছিলেন প্রাণের সঙ্গে। কেকে-র গানে গলা মিলিয়েছিলেন সকলে মিলে। এই সন্ধ্যা আর ফিরবে না জীবনে। থেকে যাবে এই অসাধারণ মুহূর্তের ভিডিওটি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bollywood, KK, Palash Sen