জয়তীর অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই দেবালয় ভট্টাচার্যের সিরিজ থেকে তাঁর গান বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টও লেখেন গায়িকা। তিনি লেখেন, 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল সিরিজ এ আমার কণ্ঠে একটি গান আছে বলে আমি জানতাম।।অনেক আশা নিয়ে দেখতে বসে দেখলাম গানটি আমার কণ্ঠে নেই।।আমার কণ্ঠ বাদ দিয়ে খুবই সুযোগ্য গুণী একজনের কণ্ঠ রাখা হয়েছে।'
advertisement
এই ঘটনায় ব্যথিত জয়তী। সিরিজে তাঁর গানটি শোনার কথা অনেককেই বলেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। কিন্তু তাঁর অজান্তে সেই গান বাদ পড়ে যাওয়ায় আঘাত পেয়েছেন তিনি। জয়তীর কথায়, "কোনও শিল্পীর আশা ভঙ্গ হওয়ার দায় ও কোনোদিন কেউ নেন নি আর নেবেনও না এ কথাও সত্যি।তবুও যাদের বলেছি যে "শুনবেন দেখবে আমার গান আছে....গানটি বড় ভাল..."এই মিথ্যাচার থেকে রেহাই পাবার প্রচেষ্টা করলাম মাত্র...।"
আরও পড়ুন: 'সামি সামি' গানে নাচতে প্রবল আপত্তি! 'পুষ্পা ২'-এর মুক্তির আগেই বিস্ফোরক রশ্মিকা
আরও পড়ুন: অভিরূপকে ছেড়ে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক! শ্রাবন্তীর 'নয়া' প্রেমের পর্দা ফাঁস
পুরো বিষয়টি জানতে নিউজ18 বাংলার পক্ষ থেকে পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি জানান, জয়তীর গাওয়া গানটি সিরিজ থেকে বাদ পড়েনি। বরং তা চূড়ান্ত পর্বে ব্যবহার করা হবে। পরিচালক বলেন, "জয়তীদির গাওয়া গানটি শুনতে বেশ ম্যাচিওর লাগছে। ইন্দুবালার বৃদ্ধ বয়সের সঙ্গে তা অনেক বেশি মানানসই। তাই সেই গানটি চতুর্থ থেকে অষ্টম পর্বের মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।"
সিরিজের সঙ্গীত পরিচালক অমিতের স্ত্রী ইক্সিতা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ভার্সনটি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে জয়তীর গান ব্রাত্য নয়। দেবালয়ের কথায়, "জয়তীদির আমি বিরাট ভক্ত। ওঁকে দিয়ে যখন আমি গানটি করিয়েছি, ওঁর উচিত ছিল আমার উপর একটু ভরসা রাখা। কোন গান কোথায় মানাবে, একজন নির্মাতা হিসেবে আমার সেটুকু বোঝার ক্ষমতা আছে। জয়তীদির গানটি অ্য়ালবাম, মিউজিক ভিডিও এবং সিরিজ, তিন জায়গাতেই থাকবে।"