গত বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে 'বাংলা চলচ্চিত্র বা কনটেন্টে সেন্সরশিপের খড়গ: গল্প বলার স্বাধীনতা চাই' শিরোনামে একটি সভা আয়োজিত হয় এর বিরোধিতা করে। যেখানে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন দুই বাংলার বিখ্যাত অভিনেত্রী জয়া আহসান।
আরও পড়ুন: কলকাতার এক অনুষ্ঠানে এসে দুই বাংলার অচেনা কিছু বিষয়ে অকপট আলোচনায় জয়া
advertisement
ঠিক যে ভাবে কোনও চরিত্রকে কড়া কড়া নিয়মে ফেলা যায় না, চলচ্চিত্র শিল্পও শর্ত মেনে চলতে পারে না, শর্ত ক্ষেঙেই তো শিল্প হয়। বারবার সে কথা মনে করালেন জয়া। তাঁর প্রশ্ন, ''আমরা কি তাহলে চলচ্চিত্র নির্মাণ করব না? আমরা কি তাহলে গল্প বলব না? চলচ্চিত্রের বেলায় প্রশাসনের এই চাপ কেন? আমরা কি লেখালেখি করব না, থিয়েটার করব না? সব চরিত্রকে নিয়মে বেঁধে দিলে তো কোনো ফিকশনই তৈরি হবে না।''
আরও পড়ুন: শাড়ি! ভি-নেক ব্লাউজ! কথা বলছে চোখ! নতুন লুকে তাক লাগালেন জয়া
বন বিভাগের প্রতি ক্ষুব্ধ জয়া বললেন, ''প্রাণ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র নিয়ে আমার নিজের একটা খাঁটি আবেগ আছে। সেই জায়গা থেকে প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে আমি আরও বেশি কথা বলব। তাই বলে কি চলচ্চিত্র বন্ধ করতে হবে? 'হাওয়া' সিনেমাটি নিয়ে যে এত কথা হচ্ছে, তা তো একটা বৃহত্তর অর্থে বানানো ছবি। এগুলিকে এত সরলীকরণ করলে তো হবে না। এ দিকে বন উজাড় হচ্ছে, দিনের পর দিন নীল ক্ষেতে পশুপাখির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছি- এগুলোর বেলায় বনবিভাগ বা প্রশাসন কোথায়? এই যে চলচ্চিত্রের উপর কখনও প্রশাসনিক চাপ, কখনও অদৃশ্য চাপ, এগুলো বন্ধ করতে হবে।''