এখন তো বাড়িতে টিভির পাশাপাশি পকেটে থাকা মোবাইল ৮ থেকে ৮০ সব বয়সি মানুষের প্রধান বিনোদনের অবলম্বন হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, স্যাটেলাইট চ্যানেল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াকে মানুষ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। বিভিন্ন সিরিয়াল, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ একটা সময় যাত্রাশিল্পকে কোণঠাসা করেছিল। তারপর করোনা লকডাউন যাত্রা শিল্পের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়। কিন্তু এত সব কিছুর পরেও এই ৫০০ বছরের প্রাচীন বিনোদনের মাধ্যম ২০২৪ সালে এসে আরও বেশি প্রাসঙ্গিকতা লাভ করেছে। চলতি বছর যাত্রাশিল্পে লগ্নী যেমন বেড়েছে তেমনই যাত্রা শিল্পের বুকিংও শেষ কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৭০০ টাকায় দারুণ ৩ সুবিধা! বর্ষপূর্তিতে বড় ছাড় পাবে জিও প্রিপেড ব্যবহারকারীরা
মূলত যাত্রাশিল্পের দুরাবস্থা শুরু হয় ২০১৫-১৬ সাল থেকে। ধুঁকতে থাকা যাত্রাশিল্প আরও বেশি খর্ব হয়ে পড়ে করোনা অতিমারির সময়। ফলে যাত্রাশিল্পের সঙ্গে জড়িতে থাকা মানুষজন ভিন্ন পেশা খুঁজে নেয় জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য। কিন্তু করোনা অতিমারির সময় পেরিয়ে যাত্রাশিল্পে ফিরে আসে অতীতের সোনালি সময়। প্রায় ১০ বছর ধরে ধুঁকতে থাকা এই প্রাচীন বিনোদনের মাধ্যমটি করোনাকালের পর নতুন করে প্রাণ পায়।
একদিকে সরকারের যাত্রাশিল্পে শিল্পীদের জন্য বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে যাত্রাপালাকে অগ্রাধিকার দেওয়া যাত্রাশিল্পকে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সাহায্য করেছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন যাত্রাপালার দল ম্যানেজারের পাশাপাশি অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
দুর্গাপুজো দিয়েই বাঙালির উৎসবের শুরু। উৎসব অনুষ্ঠানে যাত্রাশিল্পের কদর আবারও বাড়ছে। চলতি বছরে কলকাতার পাশাপাশি জেলার প্রতিটি যাত্রাপালার বুকিং অনেকটাই বেড়েছে। আর তাতে খুশি যাত্রাশিল্পের সঙ্গে জড়িতে থাকা মানুষজন। তারা আশাবাদী যাত্রাশিল্প নিয়ে। মানুষের পুরনো আবেগ আগের মতোই ফিরে আসছে। বাড়ছে যাত্রাদলের সংখ্যা।
সৈকত শী