পরিচালনার পাশাপাশি এই ছবির গল্প এবং চিত্রনাট্য পরিচালক প্রাঞ্জল চক্রবর্তীরই লেখা। জ্যামির পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করছেন বলরাম পাণ্ডে, স্বাতী মুখোপাধ্যায়, উরজা এম, রিয়া সাহা, সুমা দে এবং সৌমিত্র চক্রবর্তীর মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
advertisement
প্রসঙ্গত ‘জাযা’ একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ হল ‘প্রতিদান’ কিংবা ‘বদলা’। এবার ফিরে আসা যাক ‘জাযা’-র মূল বিষয়বস্তুতে। এই ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে শঙ্কর শর্মা নামে এক ব্যক্তিকে ঘিরে। তিনি শহরের এক ছোট্ট ফার্মে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিন ভোর ৬টায় তাঁর ঘুম ভাঙে। সকালের কাজকর্ম মিটিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীকে দেখে তবেই বাড়ি থেকে বার হন। এরপর নিজের গাড়িটি নিয়ে পুরনো কলকাতার বুক চিরে বেরিয়ে পড়েন।
তবে সারা দিন ধরে এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে অনুসরণ করেন শঙ্কর। শহরের অভিজাত এলাকার বাড়ি থেকে ওই ব্যবসায়ী বেরিয়ে নিজের অফিসে যান। এই পুরো সময়টা তাঁর পিছু নেন শঙ্কর। এমনকী বাড়ি ফেরার সময়ও ব্যবসায়ীকে অনুসরণ করেন তিনি। শঙ্কর যে সময় বাড়ি ফেরেন, সেই সময় কেউ জেগে থাকেন না। কিন্তু ল্যাপটপে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যান। এভাবেই দিনের পর দিন একই রুটিন চলতে থাকে। আসলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, শঙ্কর কিছু একটা খুঁজছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেটা অর্জন করতে পারেননি।
আরও পড়ুন– দেখলেই বুক কেঁপে উঠত অজানা মায়ায় ! ১২ বছরের বড় পুরুষকে বিয়ের গল্প হার মানাবে সিনেমাকেও
ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে বহুবার দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন শঙ্কর। এরপর কোনও কৌশলে তিনি ব্যবসায়ীর অফিসে গিয়েই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং অদ্ভুত ভাবে নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হন। ওই ব্যবসায়ী স্বল্প কালের জন্য তাঁকে নিয়োগ করেন। কয়েক মাস পরে যখন ফলাফল বেরোয়, তখন শঙ্করের জন্য ফার্মের পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নতি দেখা যায়। ফলে উচ্ছ্বসিত হন ওই ব্যবসায়ী। এরপর সেই সাফল্য উদযাপন করার জন্য ব্যবসায়ী এবং তাঁর পরিবারকে নৈশভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানান শঙ্কর। এখানেই তাঁর আসল উদ্দেশ্য উন্মোচিত হয়। শঙ্করের মতলব আসলে কী? তিনি কী চাইছেন? এই সমস্ত উত্তর পেতে গেলে দেখতেই হবে ‘জাযা’।