''তবে কি কোনওভাবে বাংলাকে ব্রাত্য করা হচ্ছে? সেই কারণেই দেবস্মিতাকে করা হল দ্বিতীয়?'' প্রশ্ন তুলছেন বনগাঁবাসীরা। তবে জেলার মানুষ কিন্তু দেবস্মিতাকেই প্রথম বলে মেনে নিচ্ছেন মনে মনে। প্রতিবেশীরাও জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে সেরা ঘরের মেয়ে দেবস্মিতাই।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ট্রেনে শিলিগুড়িতে অরিজিৎ, প্ল্যাটফর্মে নামতে গিয়ে হিমশিম গায়কের! দেখুন ছবি
advertisement
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা, ছোট থেকেই গানের সুরে গোটা পাড়াকে মাতিয়ে রাখত দেবস্মিতা। খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে। পড়াশোনা আর গান ছাড়া অন্য কোনও দিকে মন দেয়নি কখনও। আর এই গানের সুরই তাকে পৌঁছে দেয় ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর স্বপ্নের মঞ্চে। ২২ বছরের দেবস্মিতার সুরে মুগ্ধ হয়েছেন বলিউড তারকারাও। একটুর জন্য প্রথম স্থান দখল না করেলেও, বিন্দুমাত্র আফশোস নেই খেতাব জেতা বনগাঁর দেবস্মিতার।
আরও পড়ুন: Indian Idol জিতে ঋষির হাতে ২৫ লক্ষ টাকা ও গাড়ি! দ্বিতীয় স্থানে দেবস্মিতা
বলিউডে প্লেব্যাক গাওয়ার সুযোগও ইতিমধ্যেই এসেছে তাঁর কাছে। বাবা দেবপ্রসাদ রায় একজন পেশাদার গায়ক। বাবার কাছেই গানে হাতেখড়ি দেবস্মিতার। ক্লাসিক্যাল এবং পুরনো দিনের গানই প্রিয় ছিল তাঁর। আর সেই গানেই বারবার বিচারক থেকে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন দেবস্মিতা। রাজ্যের পাশপাশি বনগাঁবাসীরাও খুশি এলাকার মেয়ের সাফল্যে, উচ্ছ্বসিত প্রতিবেশীরাও।
অপরদিকে, প্রথমে অরুণিতা এবং এবার দেবস্মিতার ফাইনালে উঠেও সেরার শিরোপা পাওয়া থেকে অল্পের জন্য পিছিয়ে যাওয়ার ঘটনাটিকে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ কেউ। অনেকেই এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরপর দু’বার বনগাঁর প্রতিভা দেশের মধ্যে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নেওয়ার দাবিদার হলেও, কেন এভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে তা নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন।
Rudra Narayan Roy