মঞ্জুষার ননদ তনিমা দাস বলেন, 'বিয়ের সময় খুবই আনন্দ হয়েছিল। ও বলেছিল মনেই হয় না এটা শ্বশুর বাড়ি। আমার খুব পছন্দের ছিল মেয়েটি। ব্যস্ততার মাঝে বেশি আসতে পারতাম না। ওঁর জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করেছিল। আসতে না পারলেও কথা হয়েছিল। কিন্তু কোথা থেকে কী হয়ে গেল।"
আরও পড়ুন: আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিল মঞ্জুষা? বিদিশার মৃত্যুতেই ইন্ধন? মায়ের বয়ানে হাড়হিম তথ্য!
advertisement
শ্বশুরবাড়িতে লক্ষ্মী মেয়ে হলেও বাপের বাড়িতে 'ইমেজ' ছিল একেবারেই উল্টো। মঞ্জুষার মা বাসন্তী নিয়োগী বলেন, 'ও প্রচন্ড জেদি। আর ওঁর রাগ ছিল মারাত্মক। ও যেটা বলবে সেটাই হবে। অন্যথায় মাথা গরম হয়ে যেত। বিদিশার ঘটনার পর থেকেই ও বলছিল আমিও বিদিশার কাছে যাব। আমরা কত বোঝালাম আত্মহত্যা করা পাপ। সে উত্তর দিল মরে যাওয়ার পরে কী পাপ আর কী পূণ্য! আমাদের কোনও কথাই শুনল না। তবে জামাই ছিল বড় ভাল মানুষ। আমার মেয়ে বলতো আমিই খারাপ তাই আমিই চলে যাব।'
পাড়ার লোক যদিও জানিয়েছে, এলাকায় খুব একটা মেলামেশা করত না। নিজের কাজ নিয়েই থাকত। টাকা পয়সার অভাব ছিল না। বাইরে দিয়ে দেখে তো কিছু বোঝা যায়নি কিন্তু কেনও যে এরকম করতে গেলো বোঝা গেল না। বৃহস্পতিবার রাতেও মঞ্জুষা কথাবার্ত শুনে বেশ চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারের লোকেরা। তাঁকে অনেকক্ষণ ধরে বোঝানোও হয়। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে ফল খেতে দেওয়া হয়। রাতে খাওয়ার পর তিনতলার শোয়ার ঘরে চলে যায়। অনেক রাত পর্যন্ত ফোনে কথা বলেছিল মঞ্জুষা। সকালে নিজের ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
UJJAL ROY