এভাবে আচমকা কোনও অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর থেকে ফোন করে নিজের কোনও প্রিয়জন যদি সাহায্যের জন্য আর্তি করেন, তাহলে কেমন লাগবে? বলাই বাহুল্য যে, প্রিয়জনের এমন ভয়ানক পরিণতির শুনলে শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত নামতে বাধ্য! যে কোনও ভাবে তাঁকে সাহায্য করার চিন্তাই প্রথমে মাথায় আসবে।
advertisement
ঠিক এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের অলওয়ারের বাসিন্দা রামাবতার গুপ্তা নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। আসলে তাঁর পুত্র এবং পুত্রবধূ মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছেন ভূস্বর্গে। এরপর আচমকাই একদিন একটি ফোন পান ওই ব্যবসায়ী। ফোনে শোনেন ছেলের ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা! সেই কথা শুনে একপ্রকার হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বাবা।
আসলে গত ৭ ডিসেম্বরের ঘটনা। অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর থেকে একটি ফোন পান রামাবতার। ফোন তুলতেই উল্টো দিক থেকে শুনতে পান এক পুলিশ অফিসারের কণ্ঠস্বর। যিনি দাবি করেন যে, আপনার ছেলেকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। রামাবতারকে ওই পুলিশকর্মী বলেছিলেন যে, ছেলেকে যদি এই মামলা থেকে ছাড়াতে হয়, তাহলে তাঁকে ৩ লক্ষ টাকা পাঠাতে হবে। সেটা না করা হলে তাঁর পুত্রের জেলযাত্রা কিছুতেই আটকানো যাবে না। এই কথা শুনে রামাবতারের পায়ের তলার জমি রীতিমতো সরে যায়। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। সঙ্গে সঙ্গে পড়শিদের সাহায্য চান।
আরও পড়ুন– খরচ অত্যন্ত কম ! লেবু গাছের শিকড়ে দিন এক চামচ এই জিনিস, সারা বছর গাছ ভরা থাকবে ফলে
রামাবতারের বাড়ির পাশেই থাকেন সত্য বিজয়। তিনিও পেশায় ব্যবসায়ী। সত্য বিজয়কে গোটা ঘটনার কথা জানান। এরপর তিনি রামাবতারের কাছে আসা ফোনের নম্বর চেক করেন। হোয়াটসঅ্যাপের ডিসপ্লে ছবি দেখতে পান। যেখানে ছিল এক পুলিশকর্মীর ছবি। সত্য বিজয় বুঝতে পারেন যে, এটা একটা সাইবার জালিয়াতির ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে রামাবতারকে সতর্ক করে দেন তিনি।
সত্য বিজয় জানান যে, এই একই ঘটনা ঘটেছে তাঁর ভাইপোর সঙ্গেও। কেউ তাঁকে কল করে হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করেছেন। রামাবতারও বুঝতে পারেন যে সাইবার প্রতারকদের ফাঁদে পড়েছেন। তিনি অভিযুক্তকে ফোনে বলেন যে, তাঁর পাশে পুলিশও রয়েছে। এটা শোনামাত্রাই প্রতারক কল ডিসকানেক্ট করে দেন।
এদিকে রামাবতারের পুত্র যেহেতু স্ত্রীকে নিয়ে কাশ্মীর গিয়েছেন, তাই তাঁদের ফোন স্যুইচড অফ ছিল। যার জেরে সরাসরি নিজের ছেলেকে ফোন করে বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেননি তিনি। আর এই বিষয়টারই সুযোগ নিয়েছিল প্রতারকরা।