আদিতে গাঙ্গুবাই (Gangubai Kathiawadi) ছিলেন গুজরাতের বাসিন্দা। কিন্তু ছোটবেলা থেকে তাঁর স্বপ্ন ছিল, তিনি বলিউডের অভিনেত্রী হবেন। সেই স্বপ্ন নিয়েই কার্যত এক কাপড়ে স্বামীর সঙ্গে তিনি বেরিয়ে এসেছিলেন বাড়ি থেকে। এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন মুম্বইয়ে। এস হুসেন জাইদির মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বইয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখা আছে। সেখানেই তিনি নতুন করে ঘর বাঁধার, সংসার করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বলিউডে ফের বিয়ের সানাই! শীঘ্রই বিয়ে ফারহান-শিবাণীর, কবে জানুন
কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। উল্টে তাঁকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দিয়েছিল তাঁর স্বামী। আর সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করে তৎকালীন সময়ের বিখ্যাত গ্যাং করিম লালার গুণ্ডারা। সব সহ্য করেও শেষে ওই করিম লালার কাছেই আশ্রয় নেন গাঙ্গুবাই (Gangubai Kathiawadi)। সটান রাখি বাঁধের করিমের হাতে। তাতেই ভাইবোনের সম্পর্ক তৈরি হয় করিমের সঙ্গে। ভাল বেসে কমির তখন কামাত্থিপুরা এলাকার দায়িত্ব দিয়ে দেন গাঙ্গুবাইকে।
সেখান থেকে সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন তিনি। তৈরি হয়ে তাঁর কোঠা। সেখানে দেহপোজীবীদের নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। শোনা যায়, তাঁর কোঠায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও মহিলাকে আটকে রাখা হত না। সারা জীবনে তিনি যোগাযোগ তৈরি করেন মুম্বইয়ের কুখ্যাততম অপরাধী, ডনদের সঙ্গে। ক্রমে হয়ে ওঠেন সর্বশক্তিমান। শুরু করেন সমাজসেবা, অনাথদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন তিনি। ফলে যেন খ্যাতি আর কুখ্যাতি একই দক্ষতার ব্যালেন্স করতেন গাঙ্গুবাই। এখন কামাত্থিপুরায় জ্বলজ্বল করে গাঙ্গুবাইয়ের মূর্তি।
আলিয়া ভাটের চরিত্র ইতিমধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে দর্শকমহলে। সিনেমায় ঠিক কী কী আছে, তা নিয়ে অবশ্য প্রথম থেকেই কিছুটা রহস্য তৈরি করেছেন পরিচালক, প্রযোজকরা। কিন্তু সত্যি গাঙ্গুবাইয়ের জীবন কেমন ছিল, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি কেউই, আমারা সংক্ষেপে সেই পথেই যাত্রা করলাম।