আরও পড়ুনঃ বাতের ব্যাথার খেল খেতম, কোলেস্টেরলকে বলুন বাই-বাই! ৭দিন খান কাঁচা হলুদের সঙ্গে এক চামচ এই জিনিস!
এষা গুপ্তার কথায়, “আমার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। সাজিদ খান আর আমার মতের মিল হচ্ছিল না। ফলে শেষ পর্যন্ত আমাদের মধ্যে একটা ঝামেলা বেঁধে গেল। একবার এটা ঘটেছিল। আর তারপরে বিষয়টা কিন্তু আগের মতো রইল না। দেখুন, আমি পছন্দ করি না যে, লোকজন আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করবেন। সব সময় মানুষের সঙ্গে সেই রকম আচরণ করা উচিত, যে রকম আচরণ আপনি অন্যদের কাছ থেকে চান। বিষয়টা সাধারণই ছিল। উনি আমায় গালিগালাজ করেছিলেন… আর আমিও গালিগালাজ করেছিলাম।”
advertisement
এষা আরও জানান যে, ছবিটি থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। ফলে একটি দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু প্রযোজকের ক্ষমা প্রার্থনা তাঁর মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়েছিল। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি সেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। আমি বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম। এমনকী ঠিক করে নিয়েছিলাম যে, ছবিটি থেকে বেরিয়ে যাব। কিন্তু সাজিদের অনেক আগেই প্রযোজকই প্রথম আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম।”
কিন্তু ঝামেলার কারণটা ঠিক কী ছিল? এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “কিছু মানুষ কথা বলার আগে কিছুই ভাবেন না। তাঁরা আসলে বিভিন্ন কারণে ফ্রাস্টেশনে ভোগেন। আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না। কারণ আমি এসব থেকে মুভ অন করেছি।” সাজিদের অভব্য আচরণ কি আদৌ #MeToo সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অভিনেত্রীকে। জবাবে এষা বলেন যে, “না, সেদিক থেকে আমি ওঁকে কৃতিত্ব দেব। সেই কারণে একটি খবরের কাগজ অনেক আগেই সাজিদ খানের সঙ্গে ভুল ভাবে আমার নাম জড়ানো হয়েছিল। আর আমি ওঁকে আমার কাছ থেকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছিলাম।”
সব শেষে এষা বলেন যে, “সাজিদকে নিয়ে MeToo সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কখনওই কিছু বলিনি। ওই অভিযোগ যখন সামনে এসেছিল, তখন সেই তালিকায় কিছু মানুষ আমার নাম যোগ করেছিলেন। তাতে অভিযোগ তোলা হয়েছিল সাজিদের বিরুদ্ধে। আমি বলেছিলাম, যেখানে যে যা ভুল করেছেন, সেখানে সেটা নিয়েই কেবল কথা বলুন।”