শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়ডার সেক্টর ৪৯-এ একটি মাদক পার্টিতে তল্লাশি অভিযান চালাতে দিয়ে পুলিশ ও বন দফতরের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই পার্টি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৫টি বিষধর গোখরো সাপ। এখানেই শেষ নয়, আরও কয়েকটি বিষাক্ত সাপও উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া সেখানে পাওয়া গিয়েছে সাপের বিষও। পুলিশের জালে পড়েছে বেশ কয়েক জন সাপের বিষ চোরাচালানকারী। আর ধৃতদের দাবি, এই কাণ্ডে জড়িত রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং ‘বিগ বস ওটিটি ২’ জয়ী এলভিশ যাদব। সূত্রের খবর, মাদক পার্টিতে সাপের বিষ চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য পুলিশ এবং বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছিল পিএফএ।
advertisement
আরও পড়ুন: নভেম্বরেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন ‘ফুলকি’র অভিনেত্রী! জেনে নিন বিয়ের তারিখ
প্রসঙ্গত, এই সংগঠনটি পরিচালনা করেন বিজেপি সাংসদ এবং পশু অধিকার কর্মী মানেকা গান্ধি। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, “এটি একটি গ্রেড-১ অপরাধ। বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত অপরাধ। অন্তত ৭ বছরের কারাদণ্ড তো হওয়া উচিত। গোখরো সাপের দেহ থেকে বিষ বার করে নেওয়া হলে তাদের মৃত্যু হয়। কারণ বিষের মাধ্যমেই সাপেরা খাবার হজম করে। তাই বিষ ছাড়া তারা কিছু খেতেও পারবে না, যার ফলে তাদের মৃত্যু অবধারিত। আর আমাদের দেশে গোখরো এবং অজগরের সংখ্যা খুবই পাওয়া যায়। ফলে এই সব সাপ নিজের কাছে রাখা, অপরাধের আওতায় পড়ে।”
আরও পড়ুন: ‘রোজগেরে গিন্নি’র সঞ্চালিকার মেয়ে এবার ছোটপর্দার নায়িকা! চেনতে পারছেন অভিনেত্রীকে?
পার্টিতে তাদের থেকে সাপের বিষ কেনার জন্য এলভিশের সহযোগীদের ডাকা হয়েছিল। অবশ্য এইসব অভিযোগ একেবারেই নাকচ করে দিয়েছেন ওই সোশ্যাল মিডিয়া তারকা। মানেকা গান্ধির আনা অভিযোগের জবাবে মুখ খুলেছেন তিনি। এক্সে (পূর্বে ট্যুইটার) নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, “এই রকম মানুষদের এই ধরনের পদে দেখে সত্যিই হতবাক হয়ে যেতে হয়। যেভাবে ম্যাডাম অভিযোগ তুলেছেন, ঠিক সেভাবেই যেন তিনি ক্ষমা চাওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকেন।”
এখানেই শেষ নয়, এই প্রসঙ্গে একটি ক্ল্যারিফিকেশনের ভিডিও করেছেন এলভিশ। সামাজিক মাধ্যমে তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নাকচ করে বলেন, “এই গুজব একেবারেই ভিত্তিহীন এবং এর কোনও প্রমাণ নেই।” সেই সঙ্গে এলভিশ এ-ও জানিয়েছেন যে, এই তদন্তে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে যথাসাধ্য সহযোগিতা করতে তিনি প্রস্তুত।