অভিনেতা বললেন, "সত্যিই জানি না কী বলব। ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। সুজন দাসগুপ্ত এমন একজন মানুষ যাঁর কাছে আমি ঋণী থাকব। অনেকের কাছেই আমি আগে একেনবাবু। তার পর অনির্বাণ চক্রবর্তী। কিন্তু যে মানুষটি এই চরিত্রটি সৃষ্টি করলেন, তিনি আর নেই ভেবে মনটা ভেঙে যাচ্ছে।"
আরও পড়ুন: উপুড় হয়ে পড়ে দেহ, ভাঙতে হল ফ্ল্যাটের দরজা, 'একেন' লেখকের রহস্যমৃত্যু
advertisement
আরও পড়ুন: সব ঘুরে এবার কলকাতায় 'একেন', হোমগ্রাউন্ড অ্যাডভান্টেজ নিয়ে আরও ক্ষুরধার অনির্বাণ
২০১৮ সাল থেকে পর্দায় 'একেনবাবু'র যাত্রা শুরু। তুমুল জনপ্রিয়তার উপর ভর করেই ওটিটি থেকে বড় পর্দায় উত্তরণ ঘটে সুজন সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রটির। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পান অনির্বাণও। স্মৃতির পাতা উল্টে তিনি বললেন, "উনি (সুজন দাসগুপ্ত) মাঝেমাঝে মজা করে বলতেন, পর্দায় অন্য এক চেহারার একেন কল্পনা করেছিলেন। তবে আমি চরিত্রটি করার পর থেকে, একেনবাবুকে তিনি আমার মতো করেই দেখেছেন। ওঁর এই কথাটা সারা জীবন মনে থেকে যাবে। মনে থেকে যাবেন সুজনদাও।"
বুধবার সকালে লেখকের ফ্ল্যাটেই তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে তা পোস্টমর্টেমে পাঠানো হয়েছে। সুজনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া টালিগঞ্জে।