স্ত্রীর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করে সাত্যকি। তার বিশ্বাস, 'সব ঠিক হয়ে যাবে।' কিন্তু এমার্জেন্সি ঘরে ঊর্মির দেহ যেন অচল হয়ে পড়ল। তখনই ডাক পড়ল সাত্যকির।
চিকিৎসক সাত্যকিকে জানিয়ে দিয়েছেন, ঊর্মিকে অনেক কষ্টে বাঁচিয়ে রাখা গিয়েছে। কিন্তু কত ক্ষণ তা সম্ভব, তিনি নিজেও জানেন না। সাত্যকিকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক। তবে কি সত্যিই চিকিৎসকও হাত তুলে নিলেন? সাত্যকির পাশাপাশি তাদের পরিবারের বাকিরাও একই ভাবে বিধ্বস্ত। ঊর্মির মা, সাত্যকির মা-বাবা, ভিকি, অলকদা, ছোটকা, ঊর্মির দাদু, মুমুদিদির মা সবাই যেন শোকে বিহ্বল।
advertisement
আরও পড়ুন: 'গাঁটছড়া'কে হারিয়ে প্রথম কে? 'আলতা ফড়িং', 'ধুলোকণা'র টক্কর চতুর্থ স্থান নিয়ে
এ দিকে এই ঘটনার মূলচক্রী গায়ত্রী এবং হীরক আসলে এই পরিকল্পনা করেছিল সাত্যকির জন্য। তাকে বিষ খাওয়ানোর জন্য এই কাজ করে গায়ত্রী। কিন্তু সাত্যকির জন্য তৈরি করা চিংড়়িমাছ ভুলবশত খেয়ে নেয় ঊর্মি। নিজের অজান্তেই তার টুকাইবাবুর জীবন বাঁচায় সে। কিন্তু এতে তার নিজের প্রাণসংশয় হয়।
শেষ মেশ কি বাঁচানো যাবে না ঊর্মিকে? এখানেই পথ যদি শেষ হয়ে যায় উর্মি-সাত্যকির? তা হলে?
আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতে পেটপুজো নাচ গান, জলসার জুটিরা এক পর্দায়, কিন্তু কোন রহস্য লুকিয়ে?
বৃহস্পতিবারের পর্বের পরেও এই প্রশ্নে জর্জরিত ধারাবাহিকের দর্শকেরা। উত্তর মিলবে কবে?
প্রসঙ্গত, পণপ্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল ঊর্মি। গত সপ্তাহে নায়িকার এই বিদ্রোহের কারণেই কি তবে টিআরপি রেটিংয়ে এই ধারাবাহিক এক লাফে অনেকটা উপরে উঠে এসেছে? ৫.৫ থেকে একেবারে ৫.৯ নম্বর পেয়ে বসল 'আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়'।