সবেমাত্র লন্ডন থেকে ফিরেছেন দিতিপ্রিয়া। এসকে মুভিজ-এর নতুন ছবির শ্যুটিং সেরে। সোমবারই বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়ে দর্শকদের চমকে দিয়ে এলেন 'খুকু'।
আরও পড়ুন: মিশুকের বাবা হিসেবে নিজেকে কত নম্বর দিলেন প্রসেনজিৎ! জিতকেই বা কেমন বাবা বললেন তিনি?
নিউজ18 বাংলাকে অভিনেত্রী বললেন, "যা শুনলাম, রবিবারও প্রচুর লোক হয়েছে প্রেক্ষাগৃহে৷ আজ তো সোমবার ছিল। নন্দনে গিয়েছিলাম। প্রায় হাউসফুল ছিল শো-টা। শেষ হওয়ার একটু আগে ঢুকেছিলাম। লোকের মাঝে বসতে চেয়েছিলাম। অনেক কষ্টে একটা সিট পেয়ে বসে পড়ি। মুখে মাস্ক পরা ছিল। তাই অনেক ক্ষণ কেউ চিনতে পারেননি। বেশ খানিক পরে এক জন বলে উঠলেন, " যে মেয়েটিকে পর্দায় দেখছি, সে কি আমার পাশে বসে রয়েছে?" এই ঘটনাটা আমার মনে থেকে যাবে চিরকাল।"
advertisement
কিন্তু এ দিনই সকালে প্রযোজক রানা সরকার ফেসবুকে একটি পোস্ট করে ছবিটিকে তুলোধনো করেছেন। সঙ্গে প্রসেনজিতকেও। যেখানে তিনি লিখেছেন, 'খুকু এল না। এত করে ডাকল তবু খোকা খুকুরা হলে এল না।
এত বার বললো পাশে দাঁড়ান পাশে দাঁড়ান তবু টিকিট কাউন্টারের সামনে কেউ দাঁড়ালো না। দুজন সুপারস্টারের উদ্যোগ, একজন স্টার নায়ক অন্য একজন প্রযোজক, একজন বিনিয়োগ করলেন লাভের আশা নিয়ে, অন্যজন মাথার চুল পর্যন্ত জলাঞ্জলি দিয়ে সর্বস্ব ত্যাগ করে বাংলা সিনেমাকে একা টেনে নিয়ে যাওয়ার শেষ চেষ্টা করলেন, তবুও খোকা খুকুরা হলে এল না। এভাবে কী করে চলবে বলুন তো? একজন তিরিশ বছর ধরে একা টানার পর যদি তার "আয় আয়" ডাকে আপনারা সাড়া না দেন তাহলে তো উনি ঠিকই বলে ছিলেন যে "ইন্ডাস্ট্রি শ্মশান হয়ে যাবে"... এখনও সময় আছে, আজ ও নেক্সট তিনদিন সব হল ভর্তি করে ওনার সিনেমাটিকে 'সুপারফ্লপ' তকমা থেকে বাঁচান...।
আরও পড়ুন: বড় পর্দায় বাবা-মেয়ের গল্প, 'আয় খুকু আয়' নিয়ে এলেন প্রসেনজিৎ-দিতিপ্রিয়া
কারও নাম না করেই দিতিপ্রিয়া বললেন, "কে কী বলছে, সে দিকে পাত্তা দিচ্ছি না। লোকে খারাপ বলবে, ভালও বলবে। সব নিয়েই চলতে হবে৷ তবে আমি দর্শকের কাছ থেকে এই প্রতিক্রিয়া পেয়ে খুব খুশি। তাঁরা যখন বলছিলেন, আমার অভিনয় দেখে চোখে জল এসেছে, এটা যে কোনও খারাপ মন্তব্যকে ছাপিয়ে যায়। যাদের জন্য ছবিটি বানানো, তাঁরা প্রশংসা করেছেন, এটুকুই চেয়েছিলাম। পেলামও।"